রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
রাজ্য সরকারের কাছে অভিযোগ জানালে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে বকেয়া পেনশনের টাকা! বুধবার বিধানসভায় এমনটাই জানালেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। জানালেন, প্রয়োজনে কৃষকেরা সরাসরি ফোন করতে পারবেন শোভনকেও।
বুধবার বিধানসভায় কৃষক পেনশন প্রকল্প নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলেন বিধায়ক নরহরি মাহাতো। নরহরির দাবি, পুরুলিয়ার অনেক কৃষকের অ্যাকাউন্টে গত দু’-তিন মাস যাবৎ পেনশনের টাকা ঢুকছে না। এই প্রশ্নের উত্তরে শোভন জানান, পুরুলিয়া জেলায় মোট কৃষি পেনশন প্রাপকের সংখ্যা ৪,৩০২ জন। ওই হাজার চারেক কৃষকের মধ্যে যাঁরা টাকা পাননি, তাঁরা সে বিষয়ে অভিযোগ জানালে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমনটাই আশ্বাস দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী।
বিধায়ক নরহরির আরও অভিযোগ, অনেক কৃষক পেনশনের জন্য আবেদন করেও এই সুবিধা পাচ্ছেন না। বিভিন্ন জেলায় বহু চাষি পেনশন প্রকল্পে আবেদন করলেও অনেকের নাম অনুমোদিত হচ্ছে না। ফলে প্রবীণ কৃষকেরা সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই অভিযোগের পরেই কৃষিমন্ত্রী শোভন জানান, গত ২০২৪ সালের ৩১ মার্চের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যে মোট কৃষি পেনশন প্রাপকের সংখ্যা ৭০,৭৭২। শোভনের কথায়, ‘‘যে সব কৃষক পেনশনের আবেদন করেও সুবিধা পাচ্ছেন না, তাঁরা সরাসরি সরকারকে জানালে ব্যবস্থা নেব। ব্লকে এডিএ, বিডিএ-দেরও জানাতে পারেন। প্রয়োজনে আমায় সরাসরি ফোন করবেন। যদি পেনশন পাওয়ার যোগ্যতা থাকে, তা হলে আমরা তাঁদের তা পাইয়ে দেব।’’
উল্লেখ্য, বুধবার সকাল থেকেই উত্তাল বিধানসভা। রাজ্যের চা-বাগানের ৩০ শতাংশ জমি পর্যটনে ব্যবহার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মুলতুবি প্রস্তাব এনেছিল বিজেপি। স্পিকার তা পাঠ করতে দিলেও এ নিয়ে আলোচনার সুযোগ না মেলায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভার অধিবেশন কক্ষ। এক পর্যায়ে স্লোগান তুলে ‘ওয়াক আউট’ করেন বিজেপি বিধায়কেরা। তাঁরা বিধানসভার গেটে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।