শোভন দূরেই, বোঝাল তৃণমূল

এর আগে দলের কোর কমিটির বৈঠকে শোভনের না যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এদিনও জেলা বৈঠকে না থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি নিজে অবশ্য আগের মতোই এ দিনও জানিয়েছেন তাঁর শরীর খারাপ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৮ ০৪:১১
Share:

শোভন চট্টোপাধ্যায়।

দলের জেলা সভাপতি। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত বৈঠকে তিনি অনুপস্থিত। ভোটের কাজেও তাঁর কোনও ভূমিকা নেই। তবে কি দল এবার তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়াল?

Advertisement

তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সভাপতি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে এই জল্পনা বৃহস্পতিবার অনেকের কাছেই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে হয়েছে। স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা এবং ব্যক্তিগত জীবনযাপন সংক্রান্ত বিতর্কে জড়িয়েছেন শোভনবাবু। তাতে বিড়ম্বনায় পড়েছে তাঁর দল। সাংগঠনিক পদাধিকারে তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনা ছাড়াও কলকাতার দায়িত্বে। প্রশাসনিক দায়িত্ব হিসাবে তিনি কলকাতার মেয়র এবং তিনটি দফতরের মন্ত্রী। এত গুরুত্বপূর্ণ এক ব্যক্তিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দায়িত্বে না-রাখা যে দলের ‘সুচিন্তিত’ সিদ্ধান্ত বিভিন্ন সূত্রে তেমনই আভাস মিলছে।

রাজ্যস্তরে দলের পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে তালিকা ঘোষণা করেছিলেন, তাতে আগেই বাদ পড়েছিলেন শোভন। বৃহস্পতিবার জেলার দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে এ সংক্রান্ত বৈঠক করেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। তিনি বলেন, জেলা সভাপতি পারিবারিক কারণে সমস্যায় আছেন। আশা করি তা মিটে গেলে একসঙ্গে কাজ করবেন। তবে বৈঠকের শেষে জেলার প্রায় এক ডজন বিধায়ক দলের এই ‘সংকটে’ সাংগঠনিক দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ করেন রাজ্য সভাপতিকে। সভাপতির নির্বাচনী কাজ ভাগ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। এলাকাভিত্তিক দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি রাজ্য সভাপতি সরাসরি এই জেলার কাজ দেখভাল করবেন। নির্বাচনে জেলার সংগঠন দেখবেন রাজ্যসভার ভোটে সদ্যমনোনীত দলীয় প্রার্থী শুভাশিস চক্রবর্তী। তাঁর সঙ্গে সমন্বয়ের কাজ করবেন শক্তি মণ্ডল এবং অঞ্জন দাস। জেলা দলের সভাপতি হলেও এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন শোভন। সভাপতিপদে বদল হলে শুভাশিসকেই সেই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। প্রার্থী বাছাই বা অন্য বিষয়ে প্রয়োজন হলে রাজ্য দফতরে জানাতে বলা হয়েছে বিধায়কদের।

Advertisement

এর আগে দলের কোর কমিটির বৈঠকে শোভনের না যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এদিনও জেলা বৈঠকে না থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি নিজে অবশ্য আগের মতোই এ দিনও জানিয়েছেন তাঁর শরীর খারাপ।

শোভন সম্পর্কে দল কী সিদ্ধান্ত নেবে, আদৌ নেবে কি না, নিলে তা কবে এ সব কোনও প্রশ্নেরই সদুত্তর এদিন পর্যন্ত মেলেনি। তবে দলে অনেকের ধারণা, ২৩ মার্চ রাজ্যসভার ভোটের আগে দলীয় নেতৃত্ব এ ব্যাপারে হয়ত কিছুই বলবেন না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement