—নিজস্ব চিত্র।
তীব্র দহনে নাজেহাল কলকাতায় যেন এক ঝলক দখিনা বাতাস বয়ে আনলেন সোনু নিগম। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় তাঁর সুরেলা নেশায় বুঁদ হল এ শহর। ২৪ এপ্রিল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের দর্শকদের তাঁর গানের সুতোয় বেঁধে নিলেন সোনু।
নেতাজি ইন্ডোরে সোনুর লাইভ কনসার্টের আয়োজন করেছিল ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’। অনুষ্ঠানের ডিজিটাল মিডিয়া পার্টনার ছিল আনন্দবাজার ডট কম। ঘণ্টা দুয়েকের অনুষ্ঠানে গানে গানে শহরবাসীদের মাতালেন সোনু। সঙ্গে ছড়িয়ে দিলেন আগামী দুর্গোৎসবের প্রস্তুতির রসদ। এবং অবশ্যই প্রিয় শহরের প্রতি একরাশ ভালবাসা।
—নিজস্ব চিত্র।
এ অনুষ্ঠানে শহরের সমস্ত বড় পুজো কমিটিগুলিকে সংবর্ধিত করা হয়। ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসবে’র সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু বলেন, “গত দু’বছরে বিশ্ব জুড়ে অতিমারির ফলে শহরে তেমন কোনও বড় অনুষ্ঠান হয়নি। সময়ের এই জড়তা থেকে সকলকে মুক্তি দিতেই এমন সন্ধ্যার আয়োজন।’’
তবে গোটা সন্ধ্যার মুখ্য আকর্ষণ ছিলেন সোনু। প্রথমেই শোনালেন ‘ক্রেজি দিল’। প্রথম গানেই মুগ্ধ দর্শকেরা। তাঁদের সুরের মায়ায় জড়িয়ে এক সময় সোনু বলে ওঠেন, ‘‘এত ভালবাসাই এ শহরে আমাকে বার বার টেনে আনে। গানের প্রতি এমন ভালবাসা সত্যিই পৃথিবীর আর কোথাও নেই।’’
—নিজস্ব চিত্র।
গানের ফাঁকেই কখন যেন সোনুর নজর পড়েছিল দর্শকাসনে বসা পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী এবং ঊষা উত্থুপের দিকে। বলেই ফেলেন সোনু, ‘‘ছোটবেলায় অজয়’দার গানের গলার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। মঞ্চে নিজেকে সামলানো শিখিয়েছেন ঊষা’জি। এমন দুই ব্যক্তিত্বের সামনে গাইতে পেরে আমি সম্মানিত।’’
—নিজস্ব চিত্র।
হাততালি। ছন্দে গলা মেলানো। ক্যামেরার ঝলকানি— অফুরান আবেগে শহর ভাসালেন সোনু। আবেগে নিজেও ভেসেছেন। জানিয়েছেন, পেশাদার গায়ক হিসাবে তাঁর ৪৪ বসন্ত অতিক্রমের কথাও। সঙ্গে তাঁর রেট্রো গানের সুরে স্মৃতিমেদুর হল কলকাতা!