সোনা পাচারের অভিযোগে কলকাতায় ধৃতরা। নিজস্ব চিত্র।
মায়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে কলকাতায় লুকিয়ে আনা হচ্ছিল কোটি কোটি টাকার সোনা। কিন্তু, পাচার হয়ে যাওয়ার আগেই তা ধরা পড়ে গেল। জোড়া অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে মোট ১৬ কেজির বেশি সোনা। দুটি ঘটনায় মোট সাত জনকে গ্রেফদতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার, সদর স্ট্রিট এলাকা থেকে চার জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। তাদের কাছে মিলেছে ৬ কেজি ৩৩০ গ্রাম সোনা ও নগদ ৯৮ লক্ষ টাকা। বাংলাদেশ সীমান্ত পার করে সড়ক পথে ওই সোনা কলকাতায় আনা হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া সোনার বাজারমূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা। ধৃতদের মধ্যে দু’জন উলুবেড়িয়ার ও দু’জন নোদাখালির বাসিন্দা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, আরেকটিকে ঘটনায় মিজোরামের আইজল থেকে একটি প্রাইভেট গাড়ি করে চোরাই সোনা আসছিল কলকাতার দিকে। গাড়ির সিটের ভিতরে লুকোনো ছিল ৬০টি সোনার বাট। ওজনে ১০ কেজি। কিন্তু শেষ রক্ষা অবশ্য হল না। পাচারের আগেই ধরা পড়ে গেল রেভিনিউ অফিসারদের নজরদারিতে। সোনা তো বাজেয়াপ্ত হয়েছেই, একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে আর্ন্তজাতিক সোনা পাচার চক্রের তিন পাণ্ডাকেও।
শিলিগুড়িতে গাড়ির সিটের ভিতর থেকে উদ্ধার সোনা। নিজস্ব চিত্র।
আরও পড়ুন: ‘বৈশাখীর পরামর্শেই লন্ডন গিয়ে ফেঁসে যাচ্ছিলাম, আমাকে ভুল বুঝিয়ে আপসে ডিভোর্স করাতে চেয়েছিল শোভন’
সোমবার ডিরেক্টরেট অব ইন্টেলিজেন্স রেভিনিউ (ডিআরআই)-এর অফিসারেরা উত্তর-পূর্ব ভারতের ফুলবাড়ি-ঘোষপুকুর বাইপাসে রোডে ওত পেতে ছিলেন। খবর ছিল, সোনা পাচার হচ্ছে। শিলিগুড়ি হয়ে সেই সোনা চলে যাবে কলকাতায়। শিলিগুড়িতে ঢোকার অনেক আগেই গাড়িটি আটক করে ফেলা হয়। উদ্ধার হওয়া সোনার আনুমানিক বাজার মূল্য ৩ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা।
জানা গিয়েছে, মায়ানমার সীমান্ত হয়ে এই চোরাই সোনা ঢুকেছিল মিজোরামে। তার পর আইজল থেকে কলকাতার দিকে রওনা দেয়। ধৃতরা হল জমুয়ানকিমা, রুয়ালসাঙ্গপুইয়া এবং লালনিহালাইয়া। তিন জনেই আইজলের বাসিন্দা। চলতি আর্থিক বছরে এরই মধ্যে ৭২ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করেছে ডিআরআই-এর পূর্বাঞ্চলীয় শাখা।
আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে এ বার মুখ খুললেন প্রাক্তন স্ত্রী, অস্বস্তি বাড়ল ইমরানের