বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণের মঞ্চে এলাকার বিধায়ক। চলছে আতসবাজি প্রদর্শনী। হঠাৎ আগুনের ফুলকি গিয়ে পড়ল পাশে ডাঁই করে রাখা বাজির স্তূপে। মুহূর্তের মধ্যে বিস্ফোরণ!
রবিবার সন্ধ্যায় নরেন্দ্রপুরের কন্দকপুরের এই ঘটনায় সরকারি হিসেবে ছ’জন আহত হন। দুই যুবকের অবস্থা সঙ্কটজনক। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, আহতের সংখ্যা আরও বেশি। লাগোয়া একটি বাড়িতেও আগুন লেগে যায়। দমকল আসার আগে তাঁরাই আগুন নেভান। পুলিশি সূত্রের খবর, আয়োজক ক্লাব বাজি প্রদর্শনীর অনুমতি নেয়নি।
সোনারপুর (উত্তর)-এর বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম বলেন, ‘‘আমি ওই অনুষ্ঠানে ছিলাম। আচমকা ঘটনাটি ঘটে। একটি শিশু-সহ ছ’জন আহত হন।’’ আহতদের তিনটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে শেল, পরে তুব়ড়ি ফাটানো হয়। তখনই ঘটে বিপত্তি। ঘটনার একটি ভিডিয়ো রেকর্ডিং ছড়িয়ে পড়েছে হোয়াটসঅ্যাপে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ছোট মাঠের চার পাশে বাঁশের বেষ্টনীর পাশে বেশ ভি়ড়। বিস্ফোরণের পরেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। গুলির মতো সাঁ-সাঁ করে এ-দিক সে-দিক ছুটতে থাকে হাউইবাজি। গোটা এলাকা যুদ্ধক্ষেত্রের চেহারা নেয়। আতঙ্কে অনেকেই পাশের জলায় লাফিয়ে পড়েন। রাতে গিয়ে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে পোড়া বারুদের কালো দাগ। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে চটি, জুতো।
আদালতের বারবার নির্দেশিকা সত্ত্বেও রাজ্যে নিষিদ্ধ বাজির উৎপাদন ও ব্যবহার যে বন্ধ হয়নি, এই ঘটনা তারই প্রমাণ। বারুইপুর পুলিশ-জেলার এসপি অজয় প্রসাদ বলেন, ‘‘পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’