রাজীব কুমার। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
নিজে শনিবার রাতেই চলে গিয়েছিলেন জেলায়। আবার কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে শনিবার রাতেই রাস্তায় নেমে পড়েছিল আধাসেনা। রবিবার দিনভর জেলার নানা প্রান্ত ঘুরে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার জানালেন, মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়ে তাঁর অনুরোধ, ‘‘গুজবে কান দেবেন না।’’
ডিজি বলেছেন, ‘‘মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। সকলকে অনুরোধ করব,গুজবে কান দেবেন না। প্রত্যেকে সতর্ক থাকুন। কোনও রকম খবর পেলে পুলিশকে জানান।’’ জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায়ও বলেন, ‘‘গতকাল (শনিবার) ৭১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এলাকায় টহলদারি বজায় থাকবে। কোনও সমস্যা থাকলে আমাদের ফোন করুন।”
সংশোধিত ওয়াকফ আইন বাতিলের দাবিতে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের কয়েকটি এলাকা। হিংসার ঘটনা ঘটেছে শমসেরগঞ্জ, সুতি, ধুলিয়ানে। ওই পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। উচ্চ আদালতের নির্দেশের পর শনিবার রাতে সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন ডিজি। সূত্রের খবর, তিনি বিএসএফের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন। এর পরেই জেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নেমে রুটমার্চ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সঙ্গে রয়েছে পুলিশের বিশাল বাহিনীও। রবিবার মুর্শিদাবাদে পৌঁছেছেন বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি করণি সিংহ শেখাওয়াত। তিনি বলেছেন, ‘‘যত দিন পুলিশ চাইবে, তত দিনই বিএসএফ মোতায়েন থাকবে ওই এলাকায়। জওয়ানদের আরও সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ পুলিশকেও সব রকম ভাবে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন বিএসএফের আইজি।
অশান্ত পরিস্থিতিতে ধুলিয়ান, সুতি এবং শমসেরগঞ্জের অনেক বাসিন্দা ঘর ছেড়েছেন। গঙ্গা পেরিয়ে ওপারে মালদহের বৈষ্ণবনগরে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। প্রশাসনের তরফে তাঁদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ বলেন, ‘‘অশান্তির কারণে যাঁরা ঘর ছেড়েছেন, তাঁদের সব রকম সাহায্য করছে পুলিশ। তাঁরা ঘরে ফিরে আসতে চাইলে সব রকম ভাবে সাহায্যের জন্য প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ। তাঁরা নিজেদের ঘরে ফিরবেন, এটাই তো স্বাভাবিক। তাঁরা কেন বাইরে থাকবেন? সকলকে অনুরোধ করব, আতঙ্কে কেউ ঘর ছাড়বেন না। পুলিশ আপনাদের নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুত।’’