মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বলে জানালেন রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
গত ৩৬ ঘণ্টায় মুর্শিদাবাদে কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। উপদ্রুত এলাকায় শান্তই রয়েছে। কিন্তু তার অর্থ এই নয়, পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক। তবে স্বাভাবিকের দিকে এগোচ্ছে। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানালেন রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘অপরাধীরা ছাড় পাবে না।’’ জনসাধারণকে গুজবে কান না দেওয়ারও বার্তা দিয়েছেন এডিজি (আইনশৃঙ্খলা)।
ওয়াকফ সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। নানা জায়গায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। বেসরকারি সূত্রে দাবি, মৃত্যুও হয়েছে অন্তত তিন জনের। এই পরিস্থিতিতে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। এর পর শনিবার রাত থেকে মুর্শিদাবাদের উপদ্রুত অঞ্চলগুলিতে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ অভিযান চলছে।
জাভেদ বলেন, ‘‘গত ৩৬ ঘণ্টায় সেই ভাবে কোথাও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। এখনও পর্যন্ত ২০০ জনের বেশি লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ এডিজি (আইনশৃঙ্খলা)-র দাবি, কোনও ঘটনা না জেনে বাইরের রাজ্য থেকে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। গুজব বন্ধ করতেই উপদ্রুত এলাকাগুলিতে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হচ্ছে। তবে তিনি জানান, মুর্শিদাবাদ-মালদহের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। দোকানপাটও খুলছে। শান্তি বজায় রয়েছে জঙ্গিপুরে। পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘শান্তি ফেরাতে স্থানীয়দের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাহিনীর রুটমার্চ চলছে। এলাকায় যাচ্ছেন উচ্চপদস্থ আইপিএস অফিসারেরা। যারা অপরাধ করেছে, তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। প্রয়োজনে পাতাল খুঁড়ে নিয়ে আসব। আইন মেনে সকলের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করা হবে। দ্বিতীয় বার যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, তার প্রচেষ্টা থাকবে।’’
মুর্শিদাবাদে অশান্তির আবহে সুতি, সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ানের অনেক বাসিন্দাই গঙ্গা পেরিয়ে ও পারে মালদহের বৈষ্ণবনগরে আশ্রয়ে নিয়েছিলেন। জাভেদ জানান, ঘরছাড়াদের এলাকায় ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কেউ কেউ ফিরেওছেন। এডিজি আইনশৃঙ্খলা বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত ১৯ জন ফিরেছেন। আস্থা ফিরলে বাকিরাও এলাকায় ফিরে আসবেন।’’