বিধানসভা ভোট চলাকালীন এখানেই ঘটে গুলি চালানোর ঘটনা। ফাইল চিত্র।
কোচবিহারের শীতলখুচি কাণ্ডে সিআইডি বার বার তলব করা সত্ত্বেও অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর (সিআইএসএফ) কর্মীরা সাড়া দেননি। এ বার তলব ঠেকাতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সিআইএসএফ-কর্মীরা। আদালত সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে হাই কোর্টে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এক দফা শুনানি হয়েছে। বিচারপতি ঘোষ শুনানির জন্য বিষয়টি হাই কোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে পাঠিয়েছেন। ২ ডিসেম্বর সেখানেই মামলাটির শুনানি হতে পারে।
গত বিধানসভা ভোটের দিন শীতলখুচির জোড়পাটকিতে কেন্দ্রী বাহিনীর গুলিতে চার জন মারা যান। ভোটে জিতে ওই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিআইডি সূত্রের খবর, তাদের বিশেষ তদন্তকারী দল সিআইএসএফের ছ’জন কর্মীকে তিন বার ভবানী ভবনে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু অভিযুক্ত আধাসেনারা নানা অজুহাতে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। তাই ওই ছ’জনের সাক্ষ্য নেওয়ার জন্য কোচবিহারের মাথাভাঙা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল সিআইডি। সম্প্রতি ছ’জনের উদ্দেশে সমন জারির নির্দেশ দেয় মাথাভাঙা আদালত। তার পরেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী।
প্রাথমিক ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা বুথে হামলার কথা বললেও সিআইডি-র বক্তব্য, বুথে হামলার কোনও ঘটনাই ঘটেনি। বরং ওই গোলমালের পিছনে স্থানীয় জনতার একাংশের প্ররোচনা ছিল। তাদের প্ররোচনায় সায় দিয়েই কেন্দ্রীয় বাহিনী এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে। সিআইডি-র দাবি, যাঁরা গুলি চালিয়েছিলেন, সেই ছ’জনের তালিকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই অফিসার এবং চার জন কনস্টেবল আছেন। তাঁদের সাক্ষ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ঠিক কোন পরিস্থিতিতে গুলি চালানো হয়েছিল, সেটা এই ঘটনার অন্যতম প্রধান বিষয়। সিআইডি-র খবর, হাজিরার সময় কিছু নথিও নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্মীদের। ভোটের দিন কোন ধরনের বন্দুক নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওই কর্মীরা ডিউটিতে গিয়েছিলেন এবং সেই বন্দুক থেকেই গুলি ছোড়া হয়েছিল কি না, তার নথি জমা দিতে বলা হয়েছিল।