বিমল গুরুঙ্গ।—ফাইল চিত্র।
অমিতাভ মালিকের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করলেন মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ।
ফেরার গুরুঙ্গের একটি অডিও বার্তা ইতিমধ্যেই পাহাড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে তিনি বলেছেন, ‘‘পাহাড়ে বিস্ফোরণ, অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধারের আড়ালে কার হাত রয়েছে, তা এনআইএ-কে দিয়ে তদন্ত করালে তবেই স্পষ্ট হবে। এই দাবি আগেই জানিয়েছি। এ বার সিংলার অভিযানে অমিতাভ মালিকের মৃত্যু কী ভাবে হয়েছে, সেই তদন্ত সিবিআইকে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। তা হলেই সত্যি-মিথ্যে সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।’’
আরও পড়ুন: ওপরওয়ালা চাইলে ডেঙ্গি হবে! দোহাই তৃণমূল বিধায়কের
এর আগে মোর্চার আর এক ফেরার নেতা রোশন গিরিও এই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে পাহাড়ের ঘটনাবলীর তদন্ত করানোর দাবি জানিয়েছেন। এ বার গুরুঙ্গ নিজেই সিবিআই তদন্তের দাবি করলেন। এই ঘটনার জন্য রাজ্য এবং তৃণমূলকে দায়ী করেছেন গুরুঙ্গ। তাঁর দাবি, ‘‘আমরা (মোর্চা) কোনও দাঙ্গা-হাঙ্গামা করিনি। তা যদি করতাম, তা হলে এত দিনের প্রচুর মানুষ মারা যেত। অনেক বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হতো।’’ ১০৪ দিনের আন্দোলনে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য তিনি পুরোপুরি রাজ্যের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে দিয়েছেন।
গুরুঙ্গের এই দাবিকে অবশ্য পাত্তা দিচ্ছেন না পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, ‘‘উনি (বিমল গুরুঙ্গ) দেশদ্রোহিতা করছেন। আইন নিজের হাতে নিয়ে লুকিয়ে বড় বড় কথা বলছেন। বোমা-বন্দুক নিয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত করেছেন। এক দিন দেশের বিচার ব্যবস্থার মুখোমুখি ওঁকে হতেই হবে।’’
পুলিশের শীর্ষকর্তাও গুরুঙ্গের এই দাবিকে বিশেষ আমল দিচ্ছেন না। তবে কী ভাবে অডিও বার্তা পাহাড়ের সর্বত্র পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে তাঁরা খোঁজখবর শুরু করেছেন।
এমনই এক অভিযানে নেমে কালিম্পং জেলার পুলিশ রাম্ভি থেকে উত্তম রাই নামে যুব মোর্চার এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে। অনির্দিষ্টকালের বন্ধ চলাকালীন রাম্ভিতে সরকারি বাস ভাঙচুর করে আগুন ধরানোর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এর পরে রাতে গরুবাথান, রংবুল এলাকায় পুলিশি অভিযান হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, গরুবাথান এলাকায় দীপেন মালে, দাওয়া লেপচার মতো নেতারা গোপনে ঢুকে বৈঠক করছেন বলে খবর যায় থানায়। নতুন করে বিভিন্ন এলাকায় নাশকতার ছক কষার কথাও শোনা যায়। যদিও রাতে অভিযানের সময় মোর্চার অভিযুক্ত কোনও শীর্ষ নেতার খোঁজ মেলেনি।