মাংসের আড়ালে ব্রাউন সুগার, পাকড়াও দোকানি

শুক্রবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার দিঘা মোড়ের ওই দোকানে হানা দিয়ে প্রায় ২৫০ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার করেছে পুলিশ। মাংসের দোকানের মালিক রহিম মল্লিক-সহ তিন জন গ্রেফতার হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৩৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

পাড়ার মধ্যে আটপৌরে মাংসের দোকান। মাংস কিনতে নানা বয়সি লোকের আনাগোনা সেখানে। কিন্তু ক’দিন ধরে ভিড় জমাচ্ছিল স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা। যদিও মাংস কিনছিল না সকলে। ব্যাপারটা সন্দেহজনক ঠেকে পুলিশের। আর তার পরই অভিযানে সামনে আসে মাংসের দোকানের আড়ালে মাদকের কারবার।

Advertisement

শুক্রবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার দিঘা মোড়ের ওই দোকানে হানা দিয়ে প্রায় ২৫০ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার করেছে পুলিশ। মাংসের দোকানের মালিক রহিম মল্লিক-সহ তিন জন গ্রেফতার হয়েছে। তদন্তকারীরা জেনেছেন, ছোট ছোট পুরিয়ায় ব্রাউন সুগার বিক্রি হতো এই দোকানে। এগরার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সব্যসাচী সেনগুপ্ত বলেন, “দিঘা মোড়ে একটি আনাজ দোকানের আড়ালে চোলাইয়ের কারবার ধরা পড়েছিল। তাই এলাকার দোকানগুলোর উপর পুলিশের বিশেষ নজরদারি ছিল। মাংসের দোকানে কমবয়সিদের ভিড় দেখে অভিযান চালানো হয়। তাতেই সামনে আসে মাদকের কারবার।”

খাস কলকাতার বুকে মাদক পাচার চক্রের হদিস মিলেছে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এগরায় মাংস বিক্রির আড়ালে মাদকের কারবার ধরা পড়ায় শোরগোল পড়েছে। এগরা পুলিশের দাবি, এর পিছনে আন্তঃরাজ্য মাদক পাচার চক্র জড়িত।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত রহিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আন্তঃরাজ্য ব্রাউন সুগার পাচার চক্রের সন্ধান পায় পুলিশ। এরেন্দার এক লোকাল এজেন্টের কথা জানায় রহিম। তাকে দিয়েই ফোনে ডাকানো হয় সেই এজেন্ট সিরাজুল খানকে। সিরাজুল এলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

ব্রাউন সুগার কোথায় পেত সিরাজুল? তদন্তকারীরা ওডিশার রাজপুরের শেখ বেলালউদ্দিনের নাম জানতে পারেন। পুলিশের দাবি, বেলালউদ্দিনই ওডিশার জলেশ্বর থেকে ব্রাউন সুগার এনে দিত সিরাজুলের মতো এজেন্টদের। পরে সিরাজুলকে দিয়ে বেলালউদ্দিনকে ফোনে ডেকে পাঠায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় তাকেও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement