গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বিধানসভা কেন্দ্র দমদমে শনিবার মিছিল ডেকেছিল এসএফআই। সেই মিছিল শুরুর আগে গলির মধ্যে সেঁধিয়ে থাকা জমায়েত মাপতে ড্রোন ওড়াল পুলিশ। আর প্রশাসনিক ড্রোন দেখে মাইক ধরে এসএফআই নেতারা আর্জি জানালেন, ‘‘আমাদের অর্থবল নেই। ওই ড্রোনের ফুটেজ আমাদের দিয়ে দেবেন। তা হলে সমাজমাধ্যমে প্রচার করতে পারব।’’
ইদানীং সিপিএমের ডিজিটাল টিম যে কোনও বড় কর্মসূচিতেই পাখির চোখে ভিড় দেখাতে ড্রোন ব্যবহার করে। তবে জেলা এসএফআইয়ের কর্মসূচিতে সেই আয়োজন ছিল না। তাই পুলিশের ওড়ানো ড্রোনের ‘ফুটেজ’ পাওয়ার জন্য মাইকে কটাক্ষের সুরেই আবেদন জানান বাম ছাত্র নেতৃত্ব। পুলিশের উদ্দেশে টিকাটিপ্পনীর পরেই দমদম স্টেশন লাগোয়া এলাকা থেকে মিছিল শুরু হয়। দমদম রোড ধরে সেই মিছিল পৌঁছোয় নাগেরবাজারে। সেখানেই অবস্থান শুরু করেছেন এসএফআই কর্মীরা। যাদবপুরকাণ্ডে সংগঠনের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যকে শনিবার সন্ধ্যায় তলব করেছে যাদবপুর থানা। তাঁকে ভিডিয়ো এবং ছবি নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। নাগেরবাজারের অবস্থান থেকে এসএফআই নেতৃত্ব বলেন, যত ক্ষণ না সৃজন যাদবপুর থানা থেকে বেরোচ্ছেন, তত ক্ষণ অবস্থান চলবে।
কেন দমদমে মিছিল? এসএফআই রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে বলেন, ‘‘শিক্ষামন্ত্রী দমদমের বিধায়ক। তাই দমদমের মানুষকে আমরা বলতে এসেছি, যদি ছাত্রদের পিষে মারার চেষ্টা করা শিক্ষামন্ত্রীকে আপনাদের এলাকায় দেখতে পান, তা হলে স্থানীয় থানায় খবর দিন।’’ ব্রাত্যের ছবি দিয়ে ‘ক্রিমিনাল’ লেখা পোস্টারে দমদম এলাকা ভরিয়ে দিয়েছে বাম ছাত্রেরা। ওই পোস্টার নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর তরফে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। আবার যাদবপুরের জখম ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়ের বয়ানের ভিত্তিতে ব্রাত্য, ওয়েবকুপার নেতৃত্ব ওমপ্রকাশ মিশ্রের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। মিছিলের প্রেক্ষিতে এসএফআইকে পাল্টা বিঁধে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অবশ্য বলেন, ‘‘সিপিএম জমানায় এসএফআই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে যে তাণ্ডব চালিয়েছিল, তা মানুষ ভুলে যায়নি। এখন সাধু সাজতে এসেছে। কিন্তু মানুষ সব জানেন।’’