Coromandel Express Derailed

‘চোখের সামনে পড়ে বহু মানুষ, ভয় হচ্ছে অনেকেই মারা গিয়েছেন’, বলছেন করমণ্ডলের এক যাত্রী

সন্ধ্যার পর দুর্ঘটনা ঘটায় আলোর অভাবে সমস্যায় পড়ছেন উদ্ধারকারীরা। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা তড়িঘড়ি উদ্ধারকাজে হাত লাগান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২৩ ২১:২২
Share:

করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার সময় কী হয়েছিল? জানাচ্ছেন যাত্রীরা। — নিজস্ব চিত্র।

সন্ধ্যা নেমেছে সদ্য। ঝড়ের গতিতে আধো অন্ধকার ফুঁড়ে যাচ্ছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এমন সময় আচমকাই আকাশ কাঁপানো শব্দ। তার পরেই থমকে যায় ট্রেনের গতি। দুর্ঘটনার কবলে হাওড়ার শালিমার স্টেশন থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনেরই যাত্রীরা জানাচ্ছেন, দুর্ঘটনার সময়ের কথা।

Advertisement

ওড়িশার বালেশ্বর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বাহানগা বাজার স্টেশন। ওই স্টেশনের কাছাকাছিই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। দুর্ঘটনার অভিঘাতে বেলাইন হয়ে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের একাধিক কামরা। এর ফলে বহু মানুষের হতাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এবিপি আনন্দে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় এক যাত্রী জানিয়েছেন, তিনি যে কামরাটিতে ছিলেন, সেই কামরাটি অক্ষত রয়েছে। বাকি যতদূর চোখ যায় একের পর এক কামরা বেলাইন হয়ে ছিটকে পড়েছে পাশে।

ওই ট্রেনের এক যাত্রী বলেন, ‘‘যাঁদের ভিতর থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে এখন তাঁদের জল দেওয়া হচ্ছে। আরও আলো লাগানো হচ্ছে। বহু পুলিশ এবং উদ্ধারকারীদের আসতে দেখছি।’’

Advertisement

সন্ধ্যার পর দুর্ঘটনা ঘটায় আলোর অভাবে সমস্যায় পড়ছেন উদ্ধারকারীরা। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা তড়িঘড়ি উদ্ধারকাজে হাত লাগান। ট্রেনের অক্ষত যাত্রীরাও আসন ছেড়ে বেরিয়ে এসে উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কিন্তু আলোর অভাবে ব্যাহত হয় উদ্ধারকাজ।

ওই ট্রেনেরই এক যাত্রী বলেন, ‘‘মর্মান্তিক বললেও কম বলা হয়। আমি যে দিকে তাকাচ্ছি সে দিকে ধ্বংসের চিত্র। আমি আর এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছি না। মানসিক শক্তি হারিয়েছি। অসংরক্ষিত কামরায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বহু মানুষকে প্লাস্টিকে মুড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমার আশঙ্কা তাঁরা সকলেই মৃত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement