বিধানসভা ভবন। — ফাইল চিত্র।
রাজ্যসভার ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হলেন সাত জন প্রার্থী। সোমবার তৃণমূলের ছ’জন ও বিজেপির এক জন প্রার্থীকে জয়ের শংসাপত্র দেওয়া হল। প্রথমে তৃণমূলের প্রার্থীদের শংসাপত্র দেওয়া হয়। পরে জয়ের শংসাপত্র নেন বিজেপি প্রার্থী অনন্ত মহারাজ। তৃণমূলের তরফে রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বিরোধী জোটের বৈঠকে যোগদান করতে বেঙ্গালুরুর যাওয়ায় তাঁর হয়ে শংসাপত্র নেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এ ছাড়া তৃণমূলের রাজ্যসভার উপদলনেতা সুখেন্দুশেখর রায়, শ্রমিক সংগঠনের নেত্রী দোলা সেন, সমাজকর্মী সামিরুল ইসলাম, আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূলের সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক ও তৃণমূলের মুখপাত্র সাকেত গোখলে।
জয়ের শংসাপত্র নিয়েই কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন সুখেন্দুশেখর। তিনি বলেন, ‘‘যে ভাবে বাংলাকে ভাতে মারার চক্রান্ত চলছে তার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলছেই। তৃতীয় বারের জন্য রাজ্যসভায় গিয়ে আমরা আবারও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হব।’’ সমাজকর্মী সামিরুল বলেছেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে রাজ্যকে বঞ্চনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। পল্লীসমাজের উন্নয়নের জন্য কোনও কাজ করছে না এই সরকার। আদিবাসী, কুড়মি, সংখ্যালঘু ও পরিযায়ী শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে আমি আগেও লড়াই করেছি। তাঁদের অধিকারের জন্য আমি রাজ্যসভায় সরব হব।’’
আগামী ২৮ জুলাই রাজ্যসভা থেকে অবসর নিতে চলেছেন গোয়ার প্রতিনিধি বিনয় টি তেণ্ডুলকর। এ ছাড়া ১৮ অগস্ট গুজরাটের তিনটি আসন থেকে অবসর নেবেন দীনেশচন্দ্র জেমালভাই আনাভাদিয়া, লোখাণ্ডওয়ালা জুগলসিংহ মাথুরজি এবং বিদেশমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর। সেই জয়শঙ্করও গুজরাট থেকে ফের রাজ্যসভার সাংসদ হবেন।