মধুপর্ণা ঠাকুর। — নিজস্ব চিত্র।
দ্বিতীয় দিনে পড়ল বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের জ্যেঠতুতো বোন মধুপর্ণা ঠাকুরের আমরণ অনশন। মধুপর্ণার অভিযোগ, “বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর নিজের জোর খাটিয়ে এক মাস আগে আমাদের বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছেন। বাচ্চাকে নিয়ে ঘরে ঢুকতে পারছি না। ঠাকুমার (বীণাপাণি দেবী) ঘরে ঢুকতে পারছি না। ঘরদোর নোংরা হয়ে রয়েছে। পরিষ্কার করতে পারছি না। আমরা এর বিচার চাই।”
অনশনে মঞ্চে এ দিনও মেয়ের পাশে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। তিনি বলেন, “প্রয়াত কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের সন্তান মধুপর্ণা ঠাকুর আমরণ অনশনে বসতে বাধ্য হয়েছে। কারণ, আমরা কোনও বিচার পাচ্ছি না। কোর্টে গিয়েছি। সেখানেও কোনও বিচার পাচ্ছি না। বিজেপির হার্মাদ ও বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর বাড়ি থেকে বাইরে বার করে দিয়েছেন কপিলকৃষ্ণের স্ত্রী এবং সন্তানকে। আমরণ অনশনে বসতে বাধ্য হয়েছি আমরা।” তিনি আরও বলেন, “মানুষের কাছে বিচার চাইছি। মেয়ে হয়ে জন্ম নিয়ে কী পাপ করেছে সে। মেয়ে হওয়ায় তাঁকে তাঁর পিতৃভিটে থেকে উৎখাত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছেও আমরা বিচার চাইছি। উনি নারীশক্তির কথা বলেন। কিন্তু আজ এক জন নারীকে তাঁর দলের এমপি পথে বসিয়ে দিয়েছে। আমরা ভারতের মানুষের কাছে, পশ্চিমবাংলার মানুষের কাছে বিচার চাইছি।”
গত কাল মধুপর্ণার অনশনের জবাবে শান্তনু বলেন, ‘‘সম্প্রতি হরিচাঁদ, গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে যে জালিয়াতি হয়েছে, তা চাপা দেওয়ার জন্যই এই নাটক। ওই ঘরে আমরা তালা দিইনি। ওটা মতুয়াদের ঘর, মতুয়ারা ওটা আলাদা করে রেখেছে। মতুয়ারা আগামী দিনে সেই ঘরটিকে হেরিটেজ করবে।’’
সোমবার সকাল থেকে দাদা শান্তনুর বিরুদ্ধে প্রয়াত বীণাপাণি দেবীর ঘরের বাইরে ধরনায় বসেন তাঁর জ্যেঠতুতো বোন মধুপর্ণা।