—প্রতীকী চিত্র।
ব্যস্ততম শিয়ালদহ ডিভিশনে প্রায় ৯০০-র কাছাকাছি লোকাল ট্রেন চালানো ছাড়াও কিছু মালগাড়ি এবং দূরপাল্লার ট্রেন চালানোর দায়িত্ব পালন করেন কম-বেশি ১৪০০ ট্রেনচালক। কাজের সময়ে সামান্যতম ভুল হলেই ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। ট্রেন চলাচল বাধাহীন রাখতে চালকদের সার্বিক কাজের পরিবেশ উন্নত করার পাশাপাশি তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখাও জরুরি। সেই লক্ষ্যে সোমবার ট্রেনচালক এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হল বিশেষ কর্মশালা। সেখানে চালকদের কাজের ধরন, কর্মক্ষেত্রে তাঁরা কী ধরনের প্রতিকূলতার সম্মুখীন হন— এমন নানা দিক নিয়ে পরিবারের লোকজনকে অবহিত করা হয়। ট্রেন চালানোর সময়ে চালকদের মোবাইল ব্যবহার নিষেধ। কাজের সময়ে সর্বোত্তম মনোসংযোগ নিশ্চিত করতে তাঁদের উদ্বেগহীন থাকাও প্রয়োজন। এ দিনের কর্মশালায় রেলের একাধিক আধিকারিক মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেন।
প্রয়োজনের তুলনায় চালকের সংখ্যা কম থাকায় দেশ জুড়েই তাঁদের কাজের সময় দীর্ঘতর হচ্ছে। এ হেন পরিস্থিতিতে দুর্ঘটনা এড়াতে চালকদের দক্ষতার শীর্ষে থাকার বিষয়টিই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দিয়েছে।
গত শনিবার রেলের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে চালকদের সমস্যা নিয়ে খোঁজ নেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন জ়োনে চালকদের বিশ্রাম-কক্ষের পরিবেশ উন্নত করতে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। বিপদসীমায় সিগন্যাল অতিক্রম করার মতো ঘটনা এড়াতে চালকদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছে পূর্ব রেল। এ দিন হাওড়া থেকে রামপুরহাট পর্যন্ত রেলপথ পরিদর্শনে বেরিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রু লবিগুলি (যেখান থেকে চালক বদল হয়) সম্পর্কে খোঁজ নেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অমরপ্রকাশ দ্বিবেদী।