প্রতীকি ছবি
স্কুল শনিবার কত ক্ষণ চালানো হবে, স্কুল-কর্তৃপক্ষই সেই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে মঙ্গলবার জানান উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, বদলাতে পারে রুটিনও।
শিক্ষা দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, শনিবার স্কুলে কোনও পঠনপাঠন হবে না। পড়াশোনায় কোন পড়ুয়ার অগ্রগতি কেমন এবং কার ঘাটতি কোথায়, অভিভাবকদের কাছ থেকে শুধু সেই ‘ফিডব্যাক’ নেওয়া হবে। পড়ুয়ারা কোনও বিষয়ে পিছিয়ে থাকলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে সেটা বুঝেও নিতে পারে।
শিক্ষা দফতরের এই বিজ্ঞপ্তির পরেই শিক্ষক মহলের একাংশের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছিল, তা হলে শনিবার কি পুরো সময় অর্থাৎ ১০টা ৫০ মিনিট থেকে বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত স্কুল চলবে? শিক্ষকদের কি শনিবার পুরো সময় থাকতে হবে, না চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী অর্ধদিবস স্কুল হবে? কারণ শনিবারের স্কুলের সময় কতটা, সেই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীববাবু এ দিন বলেন, “শনিবার তো মূলত অভিভাবকেরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জানাবেন, তাঁদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার অগ্রগতি কেমন। শনিবার অন্যান্য দিনের মতো প্রথাগত ক্লাস হবে না। তাই ওই দিন স্কুল কত ক্ষণ খোলা থাকবে, স্কুল-কর্তৃপক্ষই সেই সিদ্ধান্ত নেবেন।”
এমনিতেই করোনাকালে দেড় বছরেরও বেশি সময় পরে স্কুল খুলেছে। তাই শনিবার শুধু ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার অগ্রগতি নিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষকদের বৈঠক করার বদলে অর্ধদিবস স্কুল হলেই ভাল হত বলে মনে করছেন শিক্ষক মহলের একাংশ। তাঁদের মতে, যে-ভাবে দিন ভাগ করে পড়ুয়াদের আসতে বলা হয়েছে, তাতে শনিবার ক্লাস হলে আখেরে উপকৃত হত পড়ুয়ারাই। চিরঞ্জীববাবু বলেন, “এখন যে-রুটিন দেওয়া হয়েছে, তা কিন্তু স্থায়ী নয়। এটা হয়তো কিছু দিন পরে আবার পাল্টানো হতে পারে। পরিস্থিতি দেখে এই রুটিন তৈরি করা হয়েছে। এই রুটিন পরিবর্তনশীল।”
চিরঞ্জীববাবুর মতে, যদি দেখা যায় শনিবার ক্লাস হলে পড়ুয়ারা বেশি উপকৃত হবে, তা হলে ওই দিন ফের ক্লাসের ব্যবস্থাও হতে পারে। কোন শ্রেণির পড়ুয়ারা সপ্তাহের কোন দিন আসবে, তারও পরিবর্তন হতে পারে। শিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানান, পুরো রুটিনটাই করা হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থের কথা ভেবে।