পুজোর আগেই কর্মবিরতির ডাক কর্মসূচি সংগ্রামী মঞ্চের। — ফাইল চিত্র।
পুজোর আগেই ফের কর্মবিরতির ডাক দিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। বুধবার মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, অক্টোবর মাসে দু’দিন কর্মবিরতির আহ্বান করা হয়েছে। ঘোষণা করা হয়েছে, আগামী ১০-১১ অক্টোবর কর্মবিরতি পালন করবেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। মূলত চারটি দাবিকে কেন্দ্র করে কর্মবিরতি পালন করবেন তাঁরা।
প্রথম দাবিতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) দিতে হবে। দ্বিতীয়, রাজ্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের শূন্যপদে স্বচ্ছ ও স্থায়ী নিয়োগ করতে হবে। তৃতীয়, প্রতিহিংসামূলক বদলি অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। চতুর্থ দাবি হিসেবে যোগ্য অস্থায়ী কর্মচারীদের স্থায়ী পদে নিয়োগ করতে হবে। সোমবার তাঁরা এই দাবিগুলি নিয়েই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। দাবিগুলি লিখিত আকারে তাঁর হাতে তুলেও দিয়েছিলেন।
তবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ এর আগেও কর্মবিরতি পালন করেছে। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩ ও ২০-২১ তারিখে রাজ্য জুড়ে সরকারি অফিসগুলিতে কর্মবিরতি পালন করেছিলেন তাঁরা। আবার ১০ মার্চ প্রশাসনিক ধর্মঘটেও শামিল হয়েছিলেন। ৬ এপ্রিলও কর্মবিরতি পালন করেছিলেন তাঁরা। এ ছাড়াও শহিদ মিনারে ২৪৪ দিন ধরে তাঁরা ডিএ-সহ একঝাঁক দাবিতে ধর্না চালিয়ে যাচ্ছেন। আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘‘পুজোর মরসুমে কেন্দ্রীয় সরকার আরও এক দফায় ডিএ দেওয়ার কথা ভাবছে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-র পার্থক্য হয়ে দাঁড়াবে প্রায় ৪০ শতাংশ। চলতি আর্থিক বছরে অর্থ কমিশনের কাছ থেকে ৭৩ হাজার কোটি টাকা পেয়েছে রাজ্য। আর সরকারি কর্মচারীদের বেতন খাতে ৬৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে বাজেটে। এখনও উদ্বৃত্ত রয়েছে ৯ হাজার কোটি টাকা। যা দিয়ে ১৬ শতাংশ ডিএ দেওয়াই যায়। সেই ডিএ-র দাবিতেই আমরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছি।’’
তৃণমূল কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বায়ক প্রতাপ নায়েক বলেন, ‘‘আমরা এই কর্মবিরতির ঘোরতর বিরোধিতা করছি। আমাদের সংগঠনে এক লক্ষ ৯৮ হাজার সদস্য রয়েছেন। তাঁরা সকলেই ওই দিনগুলিতে কর্মবিরতির ষড়যন্ত্র ভেঙে রাজ্য প্রশাসনকে সক্রিয় রাখবেন। ওঁদের জেলাভিত্তিক কোনও সংগঠন নেই। কেবলমাত্র কলকাতায় ধর্নার নাম করে ২০০-৫০০ লোক নিয়ে বাজার গরম করতে চাইছেন।’’