প্রতীকী চিত্র।
কলকাতা পুরসভা আসন্ন ভোট নিয়ে বৈঠকে সংশোধিত ভোটার তালিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের সঙ্গে সব দলের ওই বৈঠকে শাসক ও বিরোধী, দুই শিবিরের তরফেই ভোটকেন্দ্র পরিবর্তনের দাবি তোলা হল।
জেলাশাসকের দফতরে এ দিনের সর্বদলীয় বৈঠকে দু’দফায় ভোটার তালিকা ও ভোটকেন্দ্র নিয়ে শাসক ও বিরোধীদের মতামত গ্রহণ করা হয়। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, পুরভোটে বুথের সংখ্যা ৪৬৯১। এ দিনের বৈঠকে কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডের ৩৩টি বুথের পরিকাঠামো নিয়ে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শাসক ও বিরোধীরা। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, গত বিধানসভা নির্বাচন অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রের বিন্যাস হয়েছে কলকাতা পুরসভা এলাকায়। বৈঠকে ওয়ার্ড-ভিত্তিক বুথের দাবি তোলা হয়েছে। সংশোধিত ভোটার তালিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন শাসক ও বিরোধীরা। কয়েকটি ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, কেউ বিশেষ একটি এলাকার ভোটার, অথচ বুথ বিন্যাসের জেরে তিনি অন্য ওয়ার্ডের ভোটার হয়ে গিয়েছেন! তালিকা সংশোধন করে এই ধরনের ভোটারদের নিজস্ব ওয়ার্ডে ফিরিয়ে আনার দাবি তোলা হয়েছে। বিজেপির প্রতিনিধি বৈঠকে এই ধরনের ৩০০ জন ভোটারের তালিকা সংশোধনের আবেদন জানান।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণ ভাবে ভোটকেন্দ্র রয়েছে স্কুল, স্থানীয় ক্লাব ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। শাসক তৃণমূল মূলত ভোটকেন্দ্রের রাস্তা ও পরিকাঠামোর প্রশ্ন তুলে কিছু ক্ষেত্রে তা বাতিল করার আর্জি জানিয়েছে। শাসক দলের প্রতিনিধিরা ভোটকেন্দ্রের সামনের রাস্তার সঙ্কীর্ণতা ও পরিকাঠামোগত সমস্যার সমাধানের দাবি তোলেন। বন্দর ও পূর্ব কলকাতার কিছু ভোটকেন্দ্র নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বেশি। জেলা প্রশাসনের খবর, ওই সব এলাকায় কয়েকটি স্কুল ও ক্লাবে ভোটকেন্দ্র রয়েছে। কয়েকটি স্কুলভবন ভেঙে সারানো হচ্ছে। ওই সব ভোটকেন্দ্র সরানোর ব্যাপারে মতামত গ্রহণ করা হয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, ‘‘সর্বদলীয় বৈঠকে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের মতামত গ্রহণ করা হয়েছে। তা যাচাই করে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে জানানো হবে। ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কমিশনের সিদ্ধান্ত মেনেই।’’ আগামী সপ্তাহের শুরুতে সর্বদলীয় বৈঠক করতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আজ, শুক্রবার সেই বৈঠকের দিনক্ষণ স্থির হতে পারে।