নিয়ম পাল্টে দেওয়া হতে পারে মাঝেরহাটের বরাত 

সূত্রের খবর, নতুন ওই সেতু তৈরির জন্য ডাকা দরপত্র (টেন্ডার) খোলা হয়েছে সম্প্রতি। প্রাথমিকভাবে একাধিক সংস্থা সেই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করলেও কাজের শর্ত (এক বছরের মধ্যে সেতু তৈরি) বিবেচনা করে একটি বাদে বাকি সংস্থাগুলি নিজেদের সরিয়ে নেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:০২
Share:

পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের সঙ্গে যে বঞ্চনাই হচ্ছে, সে কথা অনস্বীকার্য। —ফাইল চিত্র।

মাঝেরহাটে নতুন সেতু তৈরিতে গতি আনতে নিজেদের তৈরি নিয়ম বদলাতে চলেছে রাজ্য সরকার।

Advertisement

সূত্রের খবর, নতুন ওই সেতু তৈরির জন্য ডাকা দরপত্র (টেন্ডার) খোলা হয়েছে সম্প্রতি। প্রাথমিকভাবে একাধিক সংস্থা সেই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করলেও কাজের শর্ত (এক বছরের মধ্যে সেতু তৈরি) বিবেচনা করে একটি বাদে বাকি সংস্থাগুলি নিজেদের সরিয়ে নেয়। ফলে ওই একটি সংস্থাকেই কাজের বরাত দেওয়া হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রস্তাব অর্থ দফতরে পাঠানো হয়েছে। অর্থ দফতরের অনুমতি পেলে ‘টেকনিক্যাল বিড’ করা হবে। সব প্রক্রিয়ার শেষে কাজের চূড়ান্ত বরাত দেওয়া হবে। পূর্ত দফতরের কর্তাদের একাংেশর মতে, শেষ মুহূর্তে অংশগ্রহণকারী সংশ্লিষ্ট সংস্থাটিই পাবে মাঝেরহাটে সেতু তৈরির দায়িত্ব।

কী ভাবে নিয়মের বদল হতে চলেছে? প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, সাধারণ ভাবে কোনও দরপত্র প্রক্রিয়ায় এক জনের বেশি অংশগ্রহণ না করলে ফের টেন্ডার ডাকা হয়। পর পর তিন বার ওই প্রক্রিয়ায় একটি সংস্থাই অংশগ্রহণ করলে অর্থ দফতরের অনুমতি নিয়ে তাদের কাজের বরাত দেওয়ার উপায় সরকারি নিয়মে রয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে একবারই দরপত্র ডাকা হয়েছিল। অভিজ্ঞ প্রশাসনিক কর্তাদের অনেকেই মনে করছেন, মাঝেরহাটে নতুন সেতু তৈরিকে ব্যতিক্রমী বিবেচনা করেই সম্ভবত মন্ত্রিসভার অনুমতি নিয়ে বরাত দেওয়ার পদ্ধতি শুধুমাত্র এ ক্ষেত্রে অবলম্বন করা হতে পারে। এক কর্তার কথায়, ‘‘স্বচ্ছতা রাখতে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে কাজের বরাত দেওয়া রীতি চালু রয়েছে। কিন্তু মাঝেরহাটের পরিস্থিতি ভিন্ন। মন্ত্রিসভার অনুমতি থাকলে বর্তমান প্রক্রিয়ায় আইনত সমস্যা থাকবে না।’’

Advertisement

সূত্রের দাবি, কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা এ রাজ্যে একাধিক সেতু তৈরির কাজ করছে। মাঝেরহাটে নতুন সেতুর বরাত পেলে তারাই নকশা তৈরি থেকে সেতু নির্মাণ—সব কিছু করবে। তবে প্রস্তাবিত নকশা যাচাইয়ের জন্য পৃথক বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে নিয়োগ করবে রাজ্য। তাদের ছাড়পত্র পেলে সেই নকশা কোনও একটি আইআইটি’র বিশেষজ্ঞদের কাছে পুনরায় যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হবে। সব ঠিক থাকলে নকশায় অনুমোদন দেবে সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement