—ফাইল চিত্র।
অমরনাথ থেকে ফেরার পথে উত্তর দিনাজপুরের ৯ যাত্রীকে আরপিএফ জওয়ানরা হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে উত্তরপ্রদেশের লখনউতে ট্রেন থেকে টেনে নামিয়ে ওই জওয়ানরা কয়েক জনকে ঘুষিও মেরেছেন বলে দাবি। বাদ যাননি প্রৌঢ়ারাও। তার পরপরই ওই যাত্রীরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রধানমন্ত্রীর দফতর এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে জড়িয়ে টুইটারে সেই অভিযোগ করেন। তার পরে ট্রেন বারাণসী পৌঁছলে রেল পুলিশের আধিকারিকেরা তাঁদের কাছে গিয়ে অভিযোগ শুনেছেন। রাতে ট্রেন শিয়ালদহে পৌঁছলে ওই যাত্রীরা রেল পুলিশে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
তীর্থযাত্রীদের এই দলে ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর কলেজের অধ্যক্ষ জীতেশ চাকি, তাঁর স্ত্রী এবং ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ শাখার স্বামী জ্যোতির্ময়ানন্দও। জ্যোতির্ময়ানন্দ বলেন, ‘‘যে ভাবে আমাদের মারধর, অকথ্য গালি দেওয়া হয়েছে, তা অবিশ্বাস্য।’’ তিনি জানান, জম্মু-তাওয়াই হামসফর এক্সপ্রেসে বাতানুকূল থ্রি টিয়ার কামরায় তাঁরা শিয়ালদহ যাচ্ছিলেন। তাঁদের ছ’জনের আসন পড়েছিল একটি দিকে পরপর। আর তিনটি আসন ছিল আর এক দিকে। যেখানে ছ’টি আসন ছিল, সেখানেই গল্প করছিলেন তাঁরা। বিকেলের দিকে তাঁদের তিন জন অন্য দিকে গিয়ে দেখেন, তাঁদের জায়গা দখল করে বসে চার মহিলা। আসন ছাড়তে বললেও তাঁরা শোনেননি। দু’পক্ষে বচসা শুরু হয়। জীতেশবাবুরা বিবাদ আর না বাড়িয়ে ওই মহিলাদের দু’টি আসন ছেড়েও দেন।
বিবাদ যে মেটেনি, তা বুঝতে পারেন লখনউ পৌঁছে। রাত তখন ১২টা। ওই চার মহিলার এক জনের স্বামী বলে পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি বেশ কয়েক জন আরপিএফ-কে নিয়ে কামরায় ওঠেন। অভিযোগ, সেই ব্যক্তি দাবি করেন, তিনি রেলের আধিকারিক। টেনে স্টেশনে নামানো হয় জীতেশবাবুদের কয়েক জনকে। জীতেশবাবুর কথায়, ‘‘সঙ্গে ছিলেন দুই বয়স্ক মহিলা। তাঁদেরও মারধর করা হয়। ওরা বলছিল, এটা বাংলা নয়, ইউপি। জিনিসপত্র লুঠ করারও চেষ্টা হয়।’’ রাতেই টুইটারে অভিযোগ জানান তাঁরা। ফোন করেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকেও। সুকান্তবাবু বলেন, ‘‘লখনউয়ের বিধায়ক রাজনাথ সিংহকে জানাব।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।