Student Harassed By Teacher In Bardhaman

ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ বর্ধমানের স্কুলে! অভিযুক্ত শিক্ষক বললেন, ‘মাথায় হাত রেখেছিলাম’

অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে নানাভাবে উত্যক্ত করার পাশাপাশি তাকে নানা অছিলায় অশ্লীলভাবে স্পর্শ করতেন এক শিক্ষক। এমনকি, তাঁর ওই কাণ্ড কাউকে জানালে ছাত্রীকে মারধরের হুমকি দিতেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৫ ২২:৪৫
Share:
এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

স্কুলের মধ্যে দিনের পর দিন এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। কাজ হয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও। শুক্রবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের তেজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে। মারমুখী অভিভাবকদের হাত থেতে অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করতে গিয়ে বেগ পেতে হল পুলিশকে। কোনওক্রমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল থানায়।

Advertisement

অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে নানাভাবে উত্যক্ত করার পাশাপাশি তাকে নানা অছিলায় অশ্লীলভাবে স্পর্শ করতেন এক শিক্ষক। এমনকি, তাঁর ওই কাণ্ড কাউকে জানালে ছাত্রীকে মারধরের হুমকি দিতেন। যদিও কোনও ভাবে ছাত্রীর বাবা-মা বিষয়টি জানতে পারেন। তাঁরা গত ২ এপ্রিল প্রধানশিক্ষকের কাছে বিষয়টি নিয়ে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানান। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করা তো হয়নি, উল্টে ছাত্রীকে আবার অভিযুক্ত শিক্ষক হুমকি দেন। ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, বিষয়টি স্থানীয় তৃণমূল কার্যালয়ে গিয়ে মিটিয়ে নিতেও বলা হয়। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি নিতাইচন্দ্র কাইতি বলেন, ‘‘পার্টি অফিসে যেতে বলার যে কথা হচ্ছে তা ডাহা মিথ্যা। কারণ ওই ছাত্রীর মাকে আমি-ই লিখিত অভিযোগ করতে বলেছিলাম। তার পরেও তিনি লিখিত অভিযোগ দেননি। তাই আমি ওঁদের বাড়িতেও গিয়েছিলাম।’’

অন্য দিকে, অভিভাবকেরা শুক্রবার স্কুলের প্রধানশিক্ষকের কাছে দল বেঁধে যেতেই উত্তেজনা ছড়ায়। তাঁদের দাবি, অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ সদুত্তর দিতে পারেননি। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, অভিযুক্ত শিক্ষককে মারধর করতে উদ্যত হন অভিভাবকদের বড় অংশ। গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বর্ধমান থানার পুলিশ। অভিযুক্ত শিক্ষকের দাবি, তিনি অভিভাবক হিসাবে ছাত্রীকে শাসন এবং স্নেহ করতেন। তাঁর কথায়, ‘‘ওকে শাসন করেছি। আবার ভালবেসে মাথায় হাতও রেখেছি। এর বাইরে কিছু করিনি।’’ আর এ নিয়ে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের মন্তব্য, ‘‘আইন আইনের পথে চলবে। এখানে কোনও রাজনৈতিক দলের বিষয় নেই।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement