তাপস পাল।
এক বছর এক মাস চার দিনের বন্দিদশা কাটিয়ে শনিবার রাতে ভুবনেশ্বরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল। গত বৃহস্পতিবার কটক হাইকোর্টে তাঁর জামিন হয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছিল, মুক্তির আগে তাঁকে দু’জন জামিনদার মারফৎ এক কোটি টাকা জমা করতে হবে। সেই প্রক্রিয়া এ দিন শেষ হয়।
আদালতের কাগজপত্র দেখে কটকের ঝাড়পদা জেল থেকে ওই বেসরকারি হাসপাতালের অধিকর্তাকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাপসবাবু আর জেলবন্দি নন। তাঁকে সাধারণ রোগী হিসেবেই বিবেচনা করা হোক। আদালতের নির্দেশমতো হাসপাতালের খরচও তাঁকেই মেটাতে হবে। ওই হাসপাতাল সূত্রের খবর, তাপসবাবু গত এক বছর ধরে একটি ‘প্রাইভেট রুমে’ ভর্তি ছিলেন। সব মিলিয়ে তাঁর চিকিৎসার খরচ হয়েছে সাড়ে ৩২ লক্ষ টাকা। সেই টাকা মেটানোর পরেই হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
একই ভাবে তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তিনিও ১০ লক্ষ টাকার চিকিৎসা-বিল মিটিয়ে ছাড়া পেয়েছিলেন। তাপসবাবু সম্ভবত আজই কলকাতায় ফিরবেন।