গ্রাফিক শৌভিক দেবনাথ।
ট্রেনের দরজা পাথর দিয়ে ভেঙে,ট্রেন দাঁড় করিয়ে দু’টি বাতানুকুল কামরা-সহ চারটি কামরায় বেপরোয়া লুঠপাট চালালো প্রায় পঁচিশ জনের দুষ্কৃতী দল। লুঠে বাধা পেয়ে ট্রেনের এক টিকিট পরীক্ষক এবং এক যাত্রীকে বেধড়ক মারধর করল ডাকাতরা। অথচ ওই সময়ে গোটা ট্রেনে একজনও নিরাপত্তা রক্ষী ছিলেন না।
এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে পটনা থেকে আসা আসানসোলগামী ডাউন পাটলিপুত্র এক্সপ্রেসে। এসি কামরার অ্যাটেনডেন্ট সিরাজ বলেন, “ট্রেন জামুই স্টেশনের আগে কুনদার হল্টে দাঁড়িয়েছিল।হঠাৎ দরজা জানলায় পাথর বৃষ্টি। তারপরেই পাথর দিয়ে দু’টি কামরার মাঝের ভেস্টিবিউলের দরজা ভেঙে দরজা খুলে ঢুকে পড়ে সাত-আট জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী। তারপরই তারা কুড়ুল,হাসুয়া, দেশি বন্দুক উঁচিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে লুঠ শুরু করে।”
পটনা থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন বিজয় কুমার। তিনি বলেন,“প্রায় ২০-২২জন ছিল। কয়েকজনের হাতে পিস্তল। বাকিদের হাতে বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র।তারা যাত্রীদের কাছ থেকে গয়না ও নগদ টাকা লুঠ শুরু করে। এক যাত্রী বাধা দিয়েছিলেন। তাঁকে মাথায় আঘাত করে ডাকাতরা।প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে এই লুঠতরাজ।”
দেখুন ভিডিও:
আরও পড়ুন: দিঘার পথে ভয়াবহ দু্র্ঘটনা, ৫ তৃণমূল নেতার মৃত্যু
যাত্রী থেকে শুরু করে ট্রেনে থাকা রেল কর্মীদের অভিযোগ, একজনও নিরাপত্তা রক্ষী ছিলেন না ট্রেনে। অজয় কুমার ওই ট্রেনেরই একজন অ্যাটেন্ডেন্ট। তিনি বলেন,“পটনা থেকে আরপিএফের জওয়ানরা উঠেছিলেন। মোকামা স্টেশনে তারা সবাই নেমে যান। গোটা ট্রেন কার্যত অরক্ষিত ছিল।তাই ট্রেনে যখন বড় বড় পাথর মেরে ডাকাতরা দরজা ভাঙছিল, তখন বাধা দেওয়ার কেউ ছিল না।”
পাটলিপুত্র এক্সপ্রেস গভীর রাতে আসানসোল স্টেশনে পৌঁছলে তাঁরা অভিযোগ দায়ের করেন। আহতদের চিকিৎসাও করা হয় সেখানে।এরপর ট্রেন আসানসোল থেকে রাঁচীর দিকে রওনা হয়। রেল পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কেন কোনও নিরাপত্তারক্ষীরা ট্রেনে ছিলেন না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, আরপিএফের এক শীর্ষ কর্তা।
আরও পড়ুন: ট্রেনযাত্রীর ফোনে উদ্ধার আট বালক