গন্ডারের প্রতীকী ছবি। ফাইল চিত্র।
ডুয়ার্সে ফের চোরা শিকারিদের হাতে প্রাণ গেল একটি পূর্ণ বয়স্ক গন্ডারের। বৃহস্পতিবার সকালে জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে, হলং বন বাংলোর খুব কাছে পূর্ণবয়স্ক ওই গন্ডারটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান বনকর্মীরা। গন্ডারটির খড়্গ কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রাজ্যের মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সহায় ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে আমরা জানতে পেরেছি বুধবার রাতে বনকর্মীরা জঙ্গলে গুলির আওয়াজ শুনতে পান। গন্ডারটির দেহ দেখে প্রাথমিক ভাবে আমাদের ধারণা, গুলি করে মারা হয়েছে। এটা চোরাশিকারের ঘটনা।”
বন দফতর সূত্রে খবর, ওই গন্ডারটির দেহটি পাওয়া গিয়েছে জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের পশ্চিম রেঞ্জের ৫০-৫০ কম্পার্টমেন্টে। জায়গাটি হলং বন বাংলোর খুব কাছেই। রাতেই বনরক্ষীরা গুলির আওয়াজ পান। কিন্তু রাতে কোনও সক্রিয়তা দেখাননি বন কর্মীরা। রাতে কেন তাঁরা তল্লাশিতে যাননি তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারি এবং ডিসেম্বর মাসে জলদাপাড়া এবং গরুমারা অভয়ারণ্যে চোরাশিকারিদের হাতে মারা যায় দু’টি পূর্ণবয়স্ক গন্ডার। সেই সময় থেকে কেন্দ্রীয় বন্যপ্রাণ অপরাধ দমন শাখার গোয়েন্দারা রাজ্যকে সতর্ক করেছিলেন, অসমের পর এ বার ডুয়ার্সের জঙ্গলই গন্ডার-শিকারিদের টার্গেট। অসম, নাগাল্যান্ড এবং মণিপুরের চোরাশিকারিরা সক্রিয় হচ্ছে বাংলায়।
সেই সতর্কবার্তার পর বেশ কয়েক মাস সীমা সুরক্ষা বল (এসএসবি)-এর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে যৌথ ভাবে বিশেষ টহলদারি এবং তল্লাশি অভিযান শুরু করে বন দফতর। যে হেতু এ ধরনের চোরাশিকারের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক জঙ্গি সংগঠনের সরাসরি যোগ রয়েছে, তাই এদের হাতে রয়েছে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। সে কারণে যৌথ টহল চালু করে বন দফতর। সেই সঙ্গে ব্যবহার করা হচ্ছিল বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষিত কুকুরও। বনদফতর সূত্রে খবর, বেশ কয়েক মাস হল সেই টহল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেই সুযোগই কাজে লাগিয়েছে চোরাশিকারিরা, এমনটাই ধারণা বনকর্মীদের একাংশের।
আরও পড়ুন: প্রয়াত প্রাক্তন সিপিআই সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্ত, শোকবার্তা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর
আরও পড়ুন: এক রাতেই বড় হয়ে গেল বালিকা ফিরোজা