‘রেট্রো ফেস্ট’
‘সন্তোষপুর আগন্তুক’, আরএসভি হসপিটালের উদ্যোগে সামাজিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের কল্যাণার্থে একটি অভিনব তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হল। গত ৯ ফেব্রুয়ারি ইন্ডিয়ান লাইফ সেভিং সোসাইটি ( অ্যান্ডারসন ক্লাবে)-তে সন্ধ্যা ৬টা থেকে তারকাখচিত এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘রেট্রো ফেস্ট’।
অনুষ্ঠানে এক দিকে ছিল সৌরেন্দ্র - সৌম্যজিৎ জুটির গান। অন্য দিকে ছিল সলীল চৌধুরীর প্রাক শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এক বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান। যেখানে অংশ নিয়েছিলেন দেবযানী চট্টোপাধ্যায় ও অর্ণব বন্দোপাধ্যায়। ভাষ্যপাঠে ছিলেন সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়।
অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে ‘সন্তোষপুর আগন্তুক’-এর কর্ণধার অরিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিগত দশ বছর ধরে সন্তোষপুর আগন্তুক স্পেশাল চাইল্ড, বয়স্ক মানুষ ও সর্বোপরি নারী-পুরুষ নির্বিশেষে স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে বিভিন্ন রকম সমাজকল্যাণমূলক কাজ করে আসছে। আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এর আগেও এ রকম কিছু ফান্ড রেজিং-এ উদ্যোগী হয়েছিলাম। তবে সবটাই খুব নীরব থেকে করার চেষ্টা করেছি বরাবর।
এই বছরের অনুষ্ঠান একটু অন্য রকম, ফান্ড রেজিং অনুষ্ঠান এটিও। তবে এই বছর এমন কিছু মনোজ্ঞ মানুষের সঙ্গে আমরা যুক্ত হতে পেরেছি, যা আমাদের উদ্যোগকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আমরা আমাদের সংস্থার উদ্দেশ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারব, সেই আশাও রাখছি।’’
অন্য দিকে প্রাক শতবর্ষে সলিল চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জ্ঞাপন ও ‘সন্তোষপুর আগন্তুক’-এর এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হওয়া উপলক্ষে দেবযানী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সন্তোষপুর আগন্তুক প্রত্যেক বছরই কোনও না কোনও অনুষ্ঠান করে থাকে। এই বছর প্রথম বার তাদের এই ফান্ড রেজিং উদ্যোগের সঙ্গে আমি যুক্ত হয়েছি। অনুষ্ঠানে আমি যে বিশেষ পরিবেশনায় করেছি, সেটির নাম একগুচ্ছ চাবি। সলিল চৌধুরীর প্রাক শতবর্ষ উপলক্ষে নৃত্য পরিবেশন করেছি আমি। সঙ্গে ছিলেন নৃত্যশিল্পী অর্ণব বন্দোপাধ্যায়।
আমি খুবই আনন্দিত, সলিল চৌধুরীর গানের সঙ্গে নাচ করা সত্যি আমার কাছে একটা খুব সৌভাগ্যের বিষয়। উনি আমার ভীষণ প্রিয় শিল্পী। শুধু সঙ্গীত পরিচালক বললে সত্যিই কম বলা হয়। আমরা যে গানগুলোতে নৃত্য পরিবেশন করেছি, সেগুলি আমার ব্যক্তিগত ভাবে ভীষণ প্রিয়। আমরা খুব আনন্দ করে উৎসাহের সঙ্গে এই কাজ করছি। আশা করি মানুষের ভাল লেগেছে।’’
অনুষ্ঠানের ডিজিটাল মিডিয়া পার্টনার আনন্দবাজার অনলাইন।