বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
বিশ্বভারতী এ বছরও বসন্ত উৎসব করছে না। বরং দোলের দিন রবীন্দ্রভবন-সহ আশ্রম চত্বর পর্যটকদের জন্য বন্ধ রাখা হবে বলে প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী, সূত্রের খবর এমনই।
বিশ্বভারতীতে শেষবার বড় আকারে বসন্ত উৎসব হয়েছিল ২০১৯ সালে। এর পরে দু'বছর অতিমারি এবং পরের দুই বছর অন্য কারণ দেখিয়ে বসন্ত উৎসব করেনি বিশ্বভারতী। গত বছর বসন্ত উৎসবের পরিবর্তে বসন্ত বন্দনা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে পর্যটক-সহ বাইরের কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। তবে রাস্তায় পর্যটকদের ঘোরাঘুরিতে বাধা ছিল না। অনেকেই ভেবেছিলেন, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসাবে অবসর নেওয়ার পরে গত ডিসেম্বরে যেমন শান্তিনিকেতনে পৌষমেলা ফিরেছে, তেমনই বসন্ত উৎসব ফিরবে।
কিন্তু, সেই সম্ভাবনা কম। সূত্রের খবর, বসন্ত উৎসব না-করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার সন্ধ্যায় বীরভূম জেলা পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয় বিশ্বভারতীর। বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিক এবং বিশ্বভারতীর বিভিন্ন ভবনের অধ্যক্ষ, আধিকারিকেরা ছিলেন। বৃহস্পতিবারও বৈঠক হয়েছে। সম্প্রতি শান্তিনিকেতনকে বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র বা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। সেই স্বীকৃতিকে মাথায় রেখেই দোলের দিন আশ্রম চত্বরে প্রবেশে বিধিনিষেধ থাকছে। সূত্রের খবর, দোলের দিন লাখেরও বেশি পর্যটক থাকবেন শান্তিনিকেতনে। আশ্রম চত্বরে অবাধ প্রবেশ থাকলে ভিড়ের চাপে ঐতিহ্যক্ষেত্রগুলি নষ্ট হতে পারে বলে কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা। তাই প্রবেশে কড়াকড়ি থাকবে। একই সঙ্গে পুলিশ-প্রশাসনকে ওই দিন উপাসনাগৃহের সামনে থেকে সঙ্গীতভবন পর্যন্ত রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করতেও বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ‘‘পর্যটকদের ভিড় সামলাতে দোলের দিন ওই রাস্তায় যতটা সম্ভব আমরা যান নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করব।’’ বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি।