Nabanna

মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে বদলির আর্জি, বিপাকে কারাকর্মী

কারা দফতরের আধিকারিকদের একাংশ মনে করছেন, এই পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। যদিও বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাইছেন না কোনও আধিকারিক।

Advertisement

রাজীব চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:৫৬
Share:

নবান্ন। —ফাইল চিত্র।

বাবা অসুস্থ। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের ‘গ্রিভ্যান্স রিড্রেসাল মনিটরিং সিস্টেমে’ (জিআরএমএস) ফোন করে হুগলিতে বদলির আর্জি জানিয়েছিলেন বীরভূমের সিউড়ি সংশোধনাগারের ‘হেড ওয়ার্ডার’ কাজল মুখোপাধ্যায়। কেন তিনি দফতরকে না জানিয়ে এই পদক্ষেপ করেছেন, সেই প্রশ্ন তুলে কাজলকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে কারা দফতর। তাঁর বিরুদ্ধে ‘ইনসাবঅর্ডিনেশনের’ (নিজের দফতরকে এড়িয়ে অন্য দফতরের হস্তক্ষেপ চাওয়া) অভিযোগ আনা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছে কারা দফতরে।

Advertisement

কারা দফতর সূত্রে খবর, গত ২৪ জুন মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে ফোন করেছিলেন কাজল। পরে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর মারফত কাজলের আবেদন কারা দফতরে পাঠানো হয়। ৭ অগস্ট কাজলকে শো-কজ় নোটিস পাঠানো হয়। তিনি তার জবাব দিয়েছেন। কিন্তু এখনও তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

কারা দফতরের এই সিদ্ধান্তে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। প্রথমত, মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে সরকারি কর্মী আবেদন জানালে, কেন তাকে ‘ইনসাবঅর্ডিনেশন’ বলা হবে। দ্বিতীয়ত, সরকারি কোনও কর্মী মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে আবেদন জানাতে পারবেন না, এমন কথা কোথায় লেখা আছে? তৃতীয়ত, কাজল একই আবেদন নিজের দফতরেও করেছিলেন। তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছিল দফতর। তবে কেন শো-কজ় নোটিস?

Advertisement

কারা দফতরের আধিকারিকদের একাংশ মনে করছেন, এই পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। যদিও বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাইছেন না কোনও আধিকারিক। কারা দফতরের এডিজি এলএন মিনা বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে বলতে পারব।’’ শো-কজ় নোটিসে অবশ্য লেখা আছে, এডিজির পরামর্শ মতো ওই পদক্ষেপ করা হয়েছে।

কাজল তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে জানান, বীরভূম জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে ‘জিআরএমএস’ সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি দেখে তিনি ফোন করেছিলেন। এই কাজ যে ‘ইনসাবঅর্ডিনেশনের’ সমতুল, তা তাঁর জানা ছিল না। দফতরেও তিনি বদলির লিখিত আবেদন জানিয়েছিলেন। তাতে বাবার অসুস্থতার উল্লেখ ছিল। কিন্তু দফতর সাড়া না দেওয়ায় তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে ফোন করেছিলেন। কাজল বলেন, ‘‘আমি মন্তব্য করব না। যা জানানোর দফতরকেই জানিয়েছি।’’

শো-কজ় নোটিসে বলা হয়েছে, কাজল ‘গ্রহণযোগ্য’ কোনও কারণ ছাড়াই কন্ট্রোলিং অথরিটির (এ ক্ষেত্রে কারা দফতর) বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, যা ওয়েস্ট বেঙ্গল জেল কোড রুলসের ১৭১ (এ) ধারার পরিপন্থী। কেন তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, শো-কজ় নোটিস পাওয়ার দু’দিনের মধ্যে তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement