আরও একটা দিন চলে গেল। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ থেকে থেকে রেফার হয়ে আসা অভিজিৎ হাজরার সরকারি হাসপাতালে ঠাঁই তো হয়ইনি, স্বাস্থ্য দফতরের কেউ মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ পর্যন্ত করেননি। তবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীর তরফে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
গত ২৬ অগস্ট পেটের সমস্যা নিয়ে পলাশি থেকে মুর্শিদাবাদে এসে ভর্তি হয়েছিলেন যুবক অভিজিৎ। পরের দিন ওই হাসপাতালে আগুন লাগে, ছোটাছুটির সময়ে পড়ে হয়ে মারা যান তাঁর মা। এর পরে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিজিৎ। শুক্রবার তাঁকে কলকাতায় এনআরএস-এ রেফার করা হয়। অথচ এনআরএস-এও ওই বিভাগ নেই। এসএসকেএম-এ নিয়ে যাওয়া হলে জানিয়ে দেওয়া হয়, বেড নেই। শেষমেশ চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল ভর্তি নিলেও প্রায় গোটা একটা দিন তাঁকে মাটিতে ফেলে রাখা হয়।
মরিয়া হয়ে আত্মীয়েরা শনিবার তাঁকে মধ্যমগ্রামে একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যান। শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছিল, তারা খোঁজ নিচ্ছে। কিন্তু এ দিন আর তারা সাড়াশব্দ করেনি। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে অগ্নিকাণ্ডের পরেই যে ভাবে মুখ্যমন্ত্রী থেকে রাজ্য প্রশাসন ‘ষড়যন্ত্র’ হয়ে থাকতে পারে বলে দাবি করেছিলেন, তা মনে করিয়ে দিয়ে অধীরের কটাক্ষ, ‘‘কী ভাবে ভাল চিকিৎসা দেওয়া যায়, সে দিকে নজর না দিয়ে কংগ্রেসকে ফাঁসানোর চক্রান্ত করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি যে ভাঁওতা, অভিজিৎ হাজরাই তার
জ্বলন্ত প্রমাণ।”