—প্রতীকী ছবি।
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সিবিআইকে দ্রুত তদন্ত শেষ করে চূড়ান্ত চার্জশিট দাখিল করার পরামর্শ দিলেন বিচারক।
মঙ্গলবার ওই মামলায় মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা-সহ আট জন অভিযুক্তকে আলিপুরে সিবিআই বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়।
জীবনকৃষ্ণের আইনজীবী জামিনের আবেদন করে বলেন, ‘‘জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল হলেও তাঁর জামিনের বিরোধিতা করা হচ্ছে। জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট কোনও অভিযোগ নেই।’’ সিবিআইয়ের আইনজীবীর দাবি, ‘‘অভিযুক্তরা নিয়োগ দুর্নীতিতে কী ভূমিকা পালন করেছেন, কোন কোন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে দুর্নীতি হয়েছে, তা চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। বেআইনি নিয়োগের পরে সমস্ত নথি নষ্ট করা হয়েছে। ধীরে ধীরে সমস্ত তথ্য প্রমাণ উঠে আসছে।’’
আদালতে পেশ করা বাকি অভিযুক্ত শান্তিপ্রসাদ সিংহ, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কৌশিক ঘোষ, শাহিদ ইমাম, আলি ইমাম, প্রসন্ন রায়, প্রদীপ সিংহের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা, সঞ্জয় দাশগুপ্ত, বিপ্লব গোস্বামী, দিব্যেন্দু ভট্টাচার্যও তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ তুলে জামিনের আবেদন করেন।
বিচারক তদন্তকারী অফিসারকে বলেন, ‘‘অধিকাংশ অভিযুক্ত নিয়োগ দুর্নীতিতে এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট চার্জশিট পেশ করুন এবং দ্রুত তদন্ত শেষ করার চেষ্টা করুন।’’ অভিযুক্তদের ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে আদালত সূত্রের খবর।