Recruitment Case

রক্ষাকবচই ‘মাথাব্যথা’ তদন্তে, রিপোর্ট

সিবিআই সূত্রের আরও দাবি, ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদে এক দিকে অসহযোগিতা করছেন অভিযুক্তেরা। আবার বাইরে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে নানা মন্তব্যও করছেন।

Advertisement

শুভাশিস ঘটক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২৪ ০৮:৩২
Share:

—প্রতীকী ছবি।

শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আইনি রক্ষাকবচকে ‘ঢাল’ করে তদন্তে অসহযোগিতা করছেন অভিযুক্ত বা সন্দেহভাজনরা— কলকাতার সিবিআই অফিসারেরা এমনই অভিযোগ করে দিল্লির সদর দফতরে ‘স্টেটাস’ রিপোর্ট পাঠালেন বলে সূত্রের দাবি।

Advertisement

সূত্রের দাবি, রিপোর্টে উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ২০১৬-র স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর তালিকায় থাকা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে ‘অযোগ্য’ প্রার্থী‌, সুপার নিউমেরারি পদ সৃষ্টিকারী সরকারি কর্তা আইনি রক্ষাকবচ পেয়েছেন। তদন্তকারীদের দাবি, ওই রক্ষাকবচ পাওয়ার পরে এখনও পর্যন্ত ৬০ জনের বেশি ‘অযোগ্য’ প্রার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁদের সামনে তথ্যও পেশ করা হয়েছে। কিন্তু বহু বিষয় তাঁরা স্বীকার করছেন না এবং আইনি রক্ষাকবচকেই তাঁরা ঢাল করছেন বলে দাবি তদন্তকারীদের।

সিবিআইয়ের এক কর্তার কথায়, “এঁরা তো বুঝে গিয়েছেন যে গ্রেফতার করা যাবে না। তাই অসহযোগিতা করেও ছাড় পেয়ে যাচ্ছেন।” দিল্লিতে ওই ‘স্টেটাস’ রিপোর্ট পৌঁছনোর পরে সিবিআইয়ের দিল্লির এক কর্তা বলেন, “তদন্তে অসহযোগিতার বিষয়টি উচ্চ আদালতে তুলে ধরে অভিযুক্তেরা কী ভাবে আইনি রক্ষাকবচ নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছেন, তা জানানো হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপরাধের তালিকা ও তার গভীরতার নথি শীর্ষ আদালতে জমা দিয়ে আইনি রক্ষাকবচ বাতিলের আবেদন করা হবে।”

Advertisement

সিবিআই সূত্রের আরও দাবি, ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদে এক দিকে অসহযোগিতা করছেন অভিযুক্তেরা। আবার বাইরে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে নানা মন্তব্যও করছেন। শুধুমাত্র প্রভাবশালী এবং তাঁর ঘনিষ্ঠরাই নন, আইনজীবীদের পরামর্শে মাঝারি মাপের অভিযুক্তরাও একই পথে হাঁটছেন বলে দাবি তদন্তকারীদের।

অনেকেই অবশ্য প্রশ্ন করছেন, অভিযুক্তেরা আইনি পথেই রক্ষাকবচ পেয়েছেন, তাতে অন্যায় কিছু নেই। এবং আইনজীবীদের কৌশল অনুযায়ী তাঁরা তা নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগাবেওই স্বাভাবিক। কিন্তু তদন্তকারীরা তার দোহাই দিয়ে তদন্ত থমকে যাওয়ার নালিশ করছেন কেন? তার অর্থ কি এই যে দীর্ঘ তদন্তের পরও তারা তেমন ‘অকাট্য তথ্যপ্রমাণ’ এখনও বার করতে পারেননি? প্রসঙ্গত, তাদের তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে আদালতও একাধিকবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। সেই অস্বস্তি এড়াতেই কি এমন যুক্তি খাড়া করছেন তদন্তকারীরা?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement