তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর শাসক-বিরোধী তরজায় উত্তপ্ত রাজনৈতিক অঙ্গন।
তাপস পালের পর তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হলেন তৃণমূলের দুই নেতা। মঙ্গলবার উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপের গ্রেফতারির পর তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে আক্রমণ করেন তিনি। পিছিয়ে ছিলেন না বিরোধী রাজনৈতিক নেতারাও। সিপিএমের মহম্মদ সেলিম থেকে সুজন চক্রবর্তী, বিজেপি-র সিদ্ধার্থনাথ সিংহ— শাসক দলকে আক্রমণে পিছপা হননি কেউ। পাশাপাশি, তৃণমূল নেতারাও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে মুখ খুলেছেন। তরজা-পাল্টা তরজার মধ্যে কে কী মন্তব্য করলেন?
আরও পড়ুন
এ বার গ্রেফতার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী
“প্রতিবাদ করলেই সিবিআই, ইডি, আয়কর দফতরকে লাগিয়ে দিচ্ছে মোদী সরকার। কত সিবিআই আছে? সবাইকে গ্রেফতার করুন।
ওঁরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। কোনও কারণ ছাড়াই গ্রেফতারি করা হচ্ছে। একমাত্র কারণ নোটবন্দি। নোটবন্দির মতো তৃণমূলকে বন্দির চেষ্টা!”
নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী ও বিধায়ক
“কোনও মন্তব্য নয়। যা বলার দলই বলবে।”
দিলীপ ঘোষ, বিজেপি রাজ্য সভাপতি
“তৃণমূল ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করছে। কারা প্রতিহিংসাপরায়ণ তা বোঝা যাচ্ছে।”
সিদ্ধার্থনাথ সিংহ, বিজেপি-র জাতীয় মুখপাত্র
“মমতাজি হিংসার সাহায্যে চিটফান্ডে জড়িত দলীয় নেতাদের বাঁচাতে পারবেন না।
আপনি ঘাবড়ে গিয়ে তৃণমূলের গুন্ডাদের হিংসা ছড়ানোয় ছাড় দিয়ে রেখেছেন।”
মহম্মদ সেলিম, সিপিএম নেতা ও সাংসদ
“মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন বীরের মতো যেতে। উনি বীরের মতো গিয়েছেন, চোরের মতো ধরা পড়েছেন।”
ডেরেক ও’ব্রায়েন, তৃণমূল সাংসদ
“এ ভাবে তৃণমূলকে আটকানো যাবে না।”
রণদীপ সুরজেওয়ালা, কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র
“মোদী সরকার প্রতিশোধের আগুনে অন্ধ হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল গত কালই
মোদীজির মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র নাম করেছিলেন। মোদীজি কি বাবুল সুপ্রিয়কে গ্রেফতার করেছেন?”
পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল মহাসচিব
“এটি একটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার উদাহারণ। কোনও অবস্থাতেই আমাদের মাথা নত করা যাবে না।”