কুয়ো কাটছেন ববিতা। সঙ্গী তাঁর দিদি সুমিত্রা। ছবি: ওমপ্রকাশ সিংহ
বাবা-মায়ের জন্য কুয়ো খুঁড়ছেন পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জের বাসিন্দা, কলেজ ছাত্রী ববিতা সোরেন— এই খবর প্রকাশ হতেই রবিবার থেকে তৎপর হল প্রশাসন।
জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘একশো দিনের প্রকল্পে কুয়োর বাকি অংশ খুঁড়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি, যত ফুট মাটি খুঁড়েছেন ববিতা, সে জন্য তাঁকে পারিশ্রমিকও দেবে ব্লক প্রশাসন।’’ এ দিন বল্লভপুর পঞ্চায়েতের বক্তারনগরের রেলগেট মাঝিপাড়ায় ববিতার বাড়িতে যান আসানসোল দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিডিও (রানিগঞ্জ) অভীক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিএড পড়ুয়া ববিতার খোঁড়া কুয়োটি পরিদর্শন করেন তাঁরা। তাপসবাবু তাঁকে ফুল, উত্তরীয় দিয়ে সংবর্ধনাও জানান। পাশাপাশি, প্রতিশ্রুতি দেন, ‘আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ’ (এডিডিএ) তাঁকে পড়াশোনার সুবিধার জন্য ল্যাপটপ দেবে। প্রশাসনের তৎপরতা দেখে ববিতার প্রতিক্রিয়া, ‘‘যতটা পেরেছি, কুয়ো খুঁড়েছি। এর দাম না পেলেও বাবা-মায়ের জন্য কুয়োটা হচ্ছে, এটা ভেবেই খুশি হতাম। তবে, কুয়োর বাকি অংশ আর আমাকে কাটতে হবে না ভেবে নিশ্চিন্ত।’’ তাঁর আর্জি, ‘‘জলের অভাবে ভোগা প্রতিটি দরিদ্র পরিবারের পাশে এ ভাবেই দাঁড়াক প্রশাসন।’’ একই বক্তব্য ববিতার মা মিনাদেবী এবং বাবা হপনাবাবুরও।