Rampurhat Violence

Rampurhat Clash: এফআইআরে নাম ছিল না, কোনও এক ‘চিফের’ নির্দেশে গ্রেফতার, সওয়াল আনারুলের আইনজীবীর

আনারুলের আইনজীবী এই মন্তব্য করার পরই বিচারক তাঁকে থামিয়ে দেন। সেই সময় বিচারক বলেন, ‘‘এজলাসে রাজনৈতিক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২২ ১৭:৪৮
Share:

গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।

বগটুই-কাণ্ডে ধৃত তৃণমূলের অপসারিত ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন রামপুরহাট এসিজেএম আদালতের বিচারক শৌভিক দে। এ দিন সরকারের পক্ষে আনারুলের পুলিশ হেফাজতের জন্য সওয়াল করেন সুরজিৎ সিন্‌হা। অন্য দিকে আনারুল হোসেনের পক্ষ উপস্থাপন করেন আইনজীবী অশোক বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুক্রবার আদালতে সরকারি আইনজীবী মূলত তিন কারণের উপর ভিত্তি করে আনারুলের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করেন। সুরজিৎ নিজের সওয়ালে বলেন, ‘‘এই ঘটনায় আগেই যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁদের জেরা করে আনারুলের নাম পাওয়া গিয়েছে।’’ আনারুলকে ঘটনার ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলে অভিহিত করে সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘‘মূল ষড়যন্ত্রকারী আনারুলকে জেরা করে এই নৃশংস ঘটনায় আর কারা জড়িত, তা জানা সম্ভব হবে। তাই তাঁকে পুলিশ হেফাজতে পাওয়া প্রয়োজন।’’

Advertisement

অন্য দিকে আনারুলের আইনজীবী অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমার মক্কেলের বয়স ৬১ বছর এবং তিনি অসুস্থ। চিকিৎসা চলছে। এই অবস্থায় তাঁকে জামিন না দেওয়ার কারণ নেই। পাশাপাশি তিনি সওয়াল করেন, ‘‘২২ মার্চের ঘটনার পর দায়ের করা এফআইআরে আনারুলের নাম নেই। কিন্তু কোনও এক ‘চিফে’র নির্দেশে তড়িঘড়ি এই কাজ করা হল।’’ সেই সময় বিচারক অশোককে থামিয়ে বলেন, ‘‘এজলাসে রাজনৈতিক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।’’ এর পর আনারুলের আইনজীবী সওয়াল করেন, ঘটনার দিন, ২২ মার্চ থেকে তিনি এখানেই ছিলেন। তাহলে কেন এত দিন অপেক্ষা করা হল? কেন প্রথমেই গ্রেফতার করা হল না? আদালতে আইনজীবীর দাবি, বৃহস্পতিবার আনারুল তারাপীঠ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। তার পর পুলিশ নিজের কাজ করেছে। আইনজীবীর এই মন্তব্যের কোনও বিরোধিতা সরকারি পক্ষ থেকে আসেনি।

দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে বিচারক শৌভিক দে আনারুলকে ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement