গড়িয়া থেকে যাদবপুরের পথে রামনবমী মিছিল। রবিবার সকালে।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় রবিবার সকাল থেকেই রামনবমীর মিছিল বার করেছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। এ দিন সকালেই খড়্গপুরে পুজো দিয়ে গদা নিয়ে মিছিল করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্য প্রশাসন যতই কঠোরতা দেখাক না কেন, বিজেপি যে এ দিন অস্ত্র নিয়ে মিছিল করবে, তা ফের একবার স্পষ্ট করেছেন বিজেপি সভাপতি।
এ দিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ খড়্গপুরের হনুমান মন্দিরে পুজো দেন দিলীপ ঘোষ। পরে তিনি বলেন, ‘‘অস্ত্র নিয়ে আমরা মিছিল করে আসছি। এটা পরম্পরা।’’ বীরভূমের সিউড়ি, বর্ধমানের দুর্গাপুরেও এ দিন সকালে রামনবমীর মিছিল বার হতে দেখা গিয়েছে। মিছিল বেরিয়েছে যাদবপুরেও।
অন্য দিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতার নির্দেশে এ দিন সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে রাম-নামে পথে নামেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। মিছিলে হাঁটা সমর্থকদের ম্যারাপ বেঁধে পাত পেড়ে খিচুড়ি, তরকারি, পায়েস, মিষ্টি খাওয়ানোর তোড়জোড়ও চলছে জেলায় জেলায়।
যাদবপুরে বাইক মিছিল।
আরও পড়ুন: বাংলার মুখে রামনাম, যুযুধান তৃণমূল-বিজেপি
পাশাপাশি, কলকাতায় চালতাবাগান থেকে গিরিশ পার্ক পর্যন্ত মিছিলে আজ বিকেলে রামের ছবি-ট্যাবলো নিয়ে হাঁটবেন উত্তর কলকাতার কয়েক জন তৃণমূল বিধায়ক। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে রামনগর, পটাশপুর থেকে খেজুড়ি সর্বত্রই রামনবমীর পুজো, মিছিল আর ভোজের আয়োজন করেছেন তৃণমূল বিধায়কেরা। বীরভূমে খিচুড়ি ভোজের ব্যবস্থার পাশাপাশি ১৪টা রামমন্দিরে পুজোর জন্য পাঁচ হাজার টাকা করে তৃণমূল বিলি করেছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।
গেরুয়া-ঝড় তুলতে গত বছরই বাংলা জুড়ে রাম-মিছিলের বহর বাড়িয়েছিল সঙ্ঘ পরিবার। কাঁথি থেকে দুর্গাপুর, সিউড়ি থেকে ইসলামপুর— বহু জায়গাতেই অস্ত্র হাতে নামতে দেখা গিয়েছিল স্কুলপড়ুয়াদেরও। তা নিয়ে বিতর্কও হয়েছিল বিস্তর। হয়েছিল মামলা-মোকদ্দমাও। এ বার তাই প্রথম থেকেই তৎপর শাসক তৃণমূল।
ভিডিও এবং ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল