Raj Bhavan on Fire Accident

‘আগুন নিয়ে খেলা নয়’, অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলার দীর্ঘ উপদেশনামার শিরোনামে কথার ‘খেলা’ রাজভবনের

আগুন লাগার ১০ কারণের তালিকায় চতুর্থটি হল অগ্নিসংযোগ। রাজভবন লিখেছে, ইচ্ছে করেও আগুন লাগাতে পারেন কেউ। তার অনেক কারণ থাকতে পারে। আবার ভুল করে আগুন লাগানোকেও কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২৩ ১৯:৩৬
Share:

রাজভবন তিনটি ভাগে আগুন থেকে বাঁচার উপায় জানিয়েছে জনগণকে। ফাইল চিত্র।

সাদা পাতায় এক কোণে লেখা— রাজভবন, কলকাতা এবং বৃহস্পতিবারের তারিখ। তার ঠিক নীচেই লেখা ওই পাঁচটি শব্দ, ‘‘লেট আস নট প্লে উইদ ফায়ার!’’ অর্থাৎ আগুন নিয়ে যেন আমরা না খেলি! এক নজরে শিরোনাম দেখে মনে হতে পারে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কোনও অভিযোগ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে রাজভবন। কিন্তু সেই বিবৃতির একটু নীচে নামলেই বোঝা যাচ্ছে শিরোনামে শুধুই কথার খেলা। আসলে অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলায় কী কী করা উচিত তারই বিবৃতি এটি। বৃহস্পতিবার এমনই একটি পাঁচ পাতার ‘উপদেশনামা’ জারি করা হয়েছে রাজভবনের পক্ষে। তাতে বিশদে বলা হয়েছে, বাংলার বাসিন্দারা আগুন থেকে সাবধান হবেন কী করে।

Advertisement

কী পরামর্শ দেওয়া হয়েছে? রাজভবন তিনটি ভাগে আগুন থেকে বাঁচার উপায় জানিয়েছে জনগণকে— প্রতিরোধ, প্রতিক্রিয়া এবং প্রতিকার।

প্রতিরোধ অর্থাৎ আগুন যাতে না লাগে তার ব্যবস্থা। রাজভবনের মতে, ‘‘সমাধানের চেয়ে সাবধানতা ভাল।’’ প্রতিক্রিয়া অর্থাৎ আগুন লাগলে কী করতে হবে? রাজভবনের পরামর্শ বলেছে, ‘‘ভয় পাবেন না, শান্ত থাকুন’’। শেষে প্রতিকার অর্থাৎ অগ্নিকাণ্ডের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কী কী করতে হবে? রাজভবন বলেছে, ‘‘ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে সতর্ক হতে হবে।’’ সাধারণ অগ্নিসতর্কতার বিষয়গুলিই ছোট ছোট ভাগে জানানো হয়েছে রাজভবনের তরফে। তবে গতে বাঁধা এই উপদেশের মধ্যে আলাদা করে নজর কেড়েছে তা হল কী কী ভাবে আগুন লাগতে পারে তার ১০টি ব্যাখ্যা।

Advertisement

আগুন লাগার সেই ১০ কারণের তালিকায় চতুর্থটি হল অগ্নিসংযোগ। রাজভবন লিখেছে, ইচ্ছা করেও আগুন লাগাতে পারেন কেউ। নেপথ্যে অনেক কারণ থাকতে পারে। এমনকি, বিমা পাওয়ার জন্যও এমন করতে পারেন কেউ। আবার না জেনে ভুল করে আগুন লাগানোকেও একটি কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছে।

কিন্তু হঠাৎ কেন এই পরামর্শ? রাজভবন অবশ্য তা জানায়নি। তবে বুধবার রাজভবনের অদূরে বিবাদী বাগ চত্বরে একটি অফিসে আগুন লাগে। খবর পেয়ে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজভবন ছেড়ে রাস্তাতেও বেরিয়ে আসেন। প্রায় দু’ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আগুন নেভানোর তদারকি করতে দেখা যায় তাঁকে। বৃহস্পতিবারের উপদেশনামাটি সেই অগ্নিকাণ্ডেরই প্রতিক্রিয়া বলে মনে করছেন অনেকে।

রাজ্যপাল বোসের ইচ্ছা মেনে সম্প্রতিই কলকাতার রাজভবন নিজেকে ‘জনরাজভবন’ বলে ঘোষণা করেছে। আগুন সংক্রান্ত উপদেশনামায় সেই জনরাজভবনের উল্লেখ না থাকলেও জনতার জন্য উদ্বেগ ধরা পড়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement