শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি সড়কে সন্দীপ পালের তোলা ছবি।
এক দিক ভাসছে, আর অন্য দিকে বৃষ্টির জন্য হাহাকার!
গত ২৪ ঘণ্টায় পাহাড়-ডুয়ার্স-তরাইয়ে গড়ে প্রায় ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। অথচ গরম এবং আপেক্ষিক আদ্রতার দাপটে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে অস্বস্তি বাড়ছে। বুধবারও স্বস্তির কোনও বার্তা শোনাতে পারেনি হাওয়া অফিস।
সোমবার রাতের বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। এর ফলে, কোচবিহারের বিভিন্ন অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়ে। জলের তলায় চলে যায় ময়নাগুড়ির বেশ কিছু এলাকা। এক দিকে প্রবল বৃষ্টি, অন্য দিকে বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা— এই দুয়ের কারণে শিলিগুড়ি শহরের বেশ কিছু এলাকায় জল জমে যায়। পাহাড়ের পাশাপাশি ওই দিন রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত তরাই এবং ডুয়ার্সেও প্রবল বর্ষণ হয়।
তবে, এর ঠিক উল্টো চিত্র দেখা গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। গত কয়েক দিনের মতো এ দিনও গরমে হাঁসফাঁস করেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। কোথাও বৃষ্টির দেখা মেলেনি। বহু জায়গায় জলসঙ্কট দেখা দিয়েছে। গরম এবং আপেক্ষিক আদ্রতার তীব্রতায় বৃষ্টির জন্য হাহাকার বেড়েছে। আবহাওয়া দফতরের দাবি, ঝাড়খণ্ডের সীমানায় এসে থমকে গিয়েছে কালবৈশাখী। কখনও সখনও সে বর্ধমানের আকাশ অবধি পৌঁছলেও গোটা দক্ষিণবঙ্গে আগামী দু’এক দিনের মধ্যে কালবৈশাখী ঢোকার কোনও সম্ভাবনা নেই। আঞ্চলিক ভাবে কোনও কোনও জায়গায় দু’এক পশলা বৃষ্টি হলেও গরম এবং আপেক্ষিক আদ্রতার অস্বস্তি থেকে আপাতত দক্ষিণবঙ্গের রেহাই মিলবে না।