নিম্নচাপ সরতে পারে আজ, বর্ষা দুরন্ত ছন্দে

হিসেবটাই পাল্টে গেল। গত পাঁচ বছর জুলাই মাসের এই সময়টায় দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার গতি ছিল স্বাভাবিকের নীচে। এ বার দেরিতে এসেও সে স্বাভাবিকের গণ্ডি ছাপিয়ে গেল! লাগাতার ঘূর্ণাবর্ত-নিম্নচাপে সওয়ার হয়ে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে রীতিমতো ঝোড়ো ইনিংস খেলে দিয়েছে বর্ষা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৫ ১৫:৫২
Share:

হিসেবটাই পাল্টে গেল। গত পাঁচ বছর জুলাই মাসের এই সময়টায় দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার গতি ছিল স্বাভাবিকের নীচে। এ বার দেরিতে এসেও সে স্বাভাবিকের গণ্ডি ছাপিয়ে গেল! লাগাতার ঘূর্ণাবর্ত-নিম্নচাপে সওয়ার হয়ে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে রীতিমতো ঝোড়ো ইনিংস খেলে দিয়েছে বর্ষা।

Advertisement

ফলে এ বার জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহেই দক্ষিণবঙ্গে স্বাভাবিক পরিমাণের চেয়ে বৃষ্টি হয়েছে ২৩% বেশি। কলকাতার ক্ষেত্রে আরও বেশি। আলিপুর হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, শুক্রবার পর্যন্ত কলকাতা এ সময়ের স্বাভাবিকের চেয়ে ৩৮% বাড়তি বৃষ্টি পেয়েছে। বর্ষা দেরিতে আসায় যাঁরা হা-হুতাশ করছিলেন, এখন তাঁরাই জানতে চাইছেন, এই নাছোড়বান্দা বৃষ্টি ছাড়বে কবে।

ওঁদের প্রশ্ন স্বাভাবিক। কারণ, বৃষ্টিতে মহানগরের জীবনযাত্রা বেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরে সোমবার থেকে বৃষ্টি হয়েই চলেছে গোটা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। জেলায় জেলায় বিভিন্ন নদীর জলস্তর বেড়েছে। কলকাতায় নানা এলাকা দিন তিনেক ধরে জলবন্দি। আলিপুর অবশ্য জানিয়েছে, শনিবার বিকেলের আগে বৃষ্টি থেকে দক্ষিণবঙ্গবাসীর নিস্তার নেই। কারণ, তার আগে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে অন্যত্র সরে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।

Advertisement

আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার রাতেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে পড়েছিল। তার জেরে বৃহস্পতিবার রাত জুড়ে কলকাতা ও আশপাশে প্রবল বর্ষণ হয়। শুক্রবার সকালে নিম্নচাপ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরে গিয়েছে ঝাড়খণ্ডে। সেটি আরও দুর্বল হয়ে পুরোপুরি ছত্তীসগঢ়ে না-ঢোকা ইস্তক কলকাতায় বৃষ্টি ধরবে না বলে জানিয়েছে আলিপুর।

পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জন্য সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। জানানো হয়েছে, শুক্রবার বিকেলের পরে তামাম উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি বাড়তে পারে। সোমবার-মঙ্গলবার নাগাদ দার্জিলিং পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। বস্তুত বর্ষা-বিচারে উত্তরবঙ্গের ছবিটা এ বার কিন্তু কিঞ্চিৎ আলাদা। মৌসুমি বায়ু সেখানে নির্দিষ্ট সময়ে ঢুকলেও শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টি স্বাভাবিকের মাত্রা ছুঁতে পারেনি। আলিপুরের তথ্য বলছে, উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় এ বার তুলনায় কম বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা দক্ষিণ দিনাজপুরে, সেখানে বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের ৬৭% কম। কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুরে ঘাটতি যথাক্রমে ২২% ও ২৫%। দক্ষিণবঙ্গে অবশ্য পশ্চিম মেদিনীপুরকে (স্বাভাবিকের ৩৫% কম) বাদ দিলে সর্বত্র স্বাভাবিকের বেশি বৃষ্টি হয়েছে।

এই সংক্রান্ত আরও খবর দেখতে ক্লিক করুন:

ভারী বৃষ্টিতে জলের তোড়ে ভেসে গেল শিশু

বানভাসি মহানগরী

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement