ফাইল চিত্র।
পর্যটকদের টানতে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিঙের বেশির ভাগ টয় ট্রেনের স্টেশনেই ক্যাফেটেরিয়া এবং রেস্তরাঁ খোলার পরিকল্পনা করছেন দার্জিলিং-হিমালয়ান রেল কর্তৃপক্ষ। কোন স্টেশনগুলিতে এ ধরনের পরিষেবা দেওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বাছাই পর্ব।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে সূত্রে খবর, পাহাড়ে পর্যটকদের রেকর্ড ভিড় হচ্ছে। টয় ট্রেনে ঘোরাফেরার জন্য বুকিংয়ে জোয়ার এসেছে। সাতসকালে এনজেপি স্টেশন থেকে পর্যটকবোঝাই টয় ট্রেন ছুটছে দার্জিলিংয়ের উদ্দেশে। পাহাড়ের কোলে ছোট-বড় নানা আকারের স্টেশনের জন্য একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বন্দোবস্ত। গড়ে তোলা হবে ক্যাফে-রেস্তরাঁ। তবে কোন স্টেশনগুলিতে সেগুলি গড়ে তোলা হবে, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে শিলিগুড়ির এনজেপি স্টেশন থেকে শুরু করে দার্জিলিং পর্যন্ত বিভিন্ন স্টেশন ঘুরে ঘুরে দেখবেন দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে স্টেশনগুলি পরিদর্শন শুরু করে দিয়েছেন রেলকর্তারা।
স্টেশন পরিদর্শনে রেলকর্তারা। —নিজস্ব চিত্র।
রেলকর্তারা জানিয়েছেন, সুকনা, রংটং, তিন ধারিয়া থেকে শুরু করে ঘুম পর্যন্ত কোন কোন স্টেশনে ক্যাফে-রেস্তরা রাখা যায়, তা সরজমিনে পরিদর্শন করে একটি রিপোর্ট পেশ হবে। খুব শীঘ্রই সে মোতাবেক কাজ শুরু হবে।
এই কর্মকাণ্ড নিয়ে কাঠিহার ডিভিশনের ডিআরএম এস কে চৌধুরী শুক্রবার বলেন, ‘‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকাভুক্ত দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়েকে আমরা আকর্ষণীয় করার চেষ্টা করছি। পাহাড়ে যেমন রেকর্ড পর্যটক আসছেন, তেমনই দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়েতেও ভিড় বাড়ছে। পর্যটকদের আনন্দ দিতে পাহাড়ের নানা স্টেশনের জন্য একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, বেশির ভাগ স্টেশনেই ছোট ছোট রেস্তরাঁ এবং ক্যাফেটেরিয়া তৈরি করা হবে। এ ছাড়া, পর্যটকদের জন্য স্টেশনে সেই পাহাড়ি অঞ্চলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বন্দোবস্ত থাকবে। এ ধরনের নানা পরিকল্পনার জন্য স্টেশন পরিদর্শন চলছে।’’