বন্ধের আওতা থেকে পরিবহণ বাদ। তবু সোমবার থেকে টয় ট্রেন চলাচল বন্ধ পাহাড়ে।
এই নিয়ে অভিযোগ পৌঁছেছে রেলবোর্ডেও। তা নিয়ে খোঁজখবরও শুরু করেছে রেল বোর্ড। প্রশ্ন উঠেছে রেল কর্মী-আধিকারিকদের একাংশের ভূমিকা নিয়েও। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের (ডিএইচআর) তরফে দাবি করা হয়েছে পাহাড়ের কয়েকটি রেল স্টেশন পতাকা লাগিয়ে বন্ধ করে রেখেছিল বন্ধ সমর্থকরা। তেমন হলে, কেন রাজ্য পুলিশ অথবা আরপিএফের সাহায্য চাওয়া হল না, কেনই বা কর্তৃপক্ষকে আগে জানানো হল না, তা জানতে চেয়েছে রেলবোর্ড।
সোম থেকে বুধবার পর্যন্ত টয় ট্রেনের সব রাইড বাতিল হয়ে যায়। যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও শুধু টয় ট্রেন বন্ধ থাকতে দেখে ক্ষুব্ধ দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা। বুধবার সকালে কয়েকজন পর্যটক দার্জিলিং-কার্শিয়াং স্টেশনে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। সূত্রের খবর, পর্যটকদের ক্ষোভের খবরও পৌঁছেছে রেল বোর্ডে। তারপরেই কৈফিয়ৎ তলব করা হয়েছে।
সোমবার থেকে দার্জিলিং পাহাড়ে মোর্চার ডাকা অনির্দিষ্টকালের অফিস বন্ধ চলছে। ওই বন্ধে পরিবহণকে ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়। সেই মতো সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের যানবাহনই চলাচল করেছে। তবে প্যাসেঞ্জার টয় ট্রেন হোক অথবা জয় রাইড, জঙ্গল সাফারির মতো পর্যটকদের জন্য বিশেষ ট্রেনগুলিও বাতিল করে দেওয়া হয়। ডিএইচআরের তরফে দাবি করা হয়েছে, বিভিন্ন স্টেশনগুলিতে বন্ধ সমর্থকরা পতাকা লাগিয়ে বন্ধ করে দেয়। তেমন একটি ছবিও রেলবোর্ডের কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে সে ছবি গত মঙ্গলবার সাধারণ ধমর্ঘটের দিনের বলে দাবি। তবে সোম এবং বুধবার কেন ট্রেন চলল না, তার কোনও জবাব এখনও রেলবোর্ড পায়নি বলে সূত্রের খবর।
ডিএইচআরের কোনও কর্তা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তবে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের এক পদস্থ কর্তার মন্তব্য, ‘‘যে কোনও ট্রেন চলাচলই পরপর বাতিল হলে রেলবোর্ড থেকে খোঁজ নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। কারও গাফিলতি আছে কি না, সে সব পরের কথা।’’
বর্তমানে প্রতি দিন দার্জিলিং থেকে ঘুম পর্যন্ত ৯টি জয়রাইড চলে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে তিনধারিয়া পর্যন্ত দু’দফায় জঙ্গল সাফারিও হয়। এ ছাড়াও পাহাড় থেকে সমতল প্রতিদিন দু’টি প্যাসেঞ্জার টয় ট্রেন চলে।