প্রতীকী ছবি।
সেই নাবালিকার শারীরিক পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল সূত্রের খবর, রবিবার বিকেলে তার জ্বর ছিল। তার কথাবার্তাতেও কিছুটা অসংলগ্নতা রয়েছে।
এ দিকে, ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় আগাম জামিনে ছাড়া পেয়ে অভিযুক্তেরা কাদের দিয়ে ওই নাবালিকাকে হুমকি দিয়েছিল, তা এখনও পর্যন্ত জানতে পারেনি পুলিশ। ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ভাই অজয় রায় ও বিজয় রায়কে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হলেও এখনও তারা মুখ খোলেনি বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশ কি তা হলে অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে? জেলার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি অবশ্য এই অভিযোগই তুলছে। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি শাসক দল তৃণমূলের। বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, ‘‘অভিযুক্তেরা তৃণমূল ঘনিষ্ঠ। সেই কারণেই পুলিশ অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। শাসক দলের অঙ্গুলি হেলনেই পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য বলেন, ‘‘অভিযুক্তেরা তৃণমূলের নেতা-কর্মী। তৃণমূলের উচ্চতর নেতৃত্বের নির্দেশেই পুলিশ অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। আমরা প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছি।’’
এর আগে অভিযুক্তেরা আদালতে এসে সংবাদমাধ্যমের কাছে নিজেদের তৃণমূলের কর্মী হিসেবেই পরিচয় দিয়েছিল। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব এই দাবি অস্বীকার করেছেন। তবে পুলিশের দাবি, তদন্ত সঠিক পথেই এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে সব কিছু বলা সম্ভব নয় বলে দাবি পুলিশের পদস্থ অফিসারদের।
জেলার পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, ‘‘কে কী অভিযোগ তুলেছে তা নিয়ে কিছু যায় আসে না। তদন্ত ঠিকঠাক মতোই হচ্ছে।’’
অন্য দিকে, আইনজীবীদের মতে, তদন্তের স্বার্থে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ওই নাবালিকার গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করা খুবই জরুরি। একইসঙ্গে, নাবালিকা এই ঘটনার কথা যাঁদের কাছে বলেছে, বিচারকের সামনে তাঁদেরও গোপন জবানবন্দি নেওয়া জরুরি। এ ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কারও গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে কি না তা নিয়েও পুলিশ কিছু জানাতে চায়নি।
অন্য দিকে, রবিবার বিকেলের পর থেকে নাবালিকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রের খবর। নাবালিকার মা বলেন, ‘‘চোখ বন্ধ করে ঘোরের মধ্যে আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে মেয়ে। মাঝে মধ্যেই হুমকি দেওয়া সেই কথাগুলো বলছে।’’