ডাক্তারি ছাত্রদের সমবেতন ঘিরে প্রশ্ন

অর্থাৎ, স্নাতকোত্তরের ডাক্তারি পড়ুয়া যে বেতন পাচ্ছেন, ডিপ্লোমা পড়ুয়ারও সেই বেতনই প্রাপ্য। যোগ্যতা আলাদা হলেও বেতনক্রম এমন একঢালা কেন? প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

Advertisement

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৭ ০১:১৫
Share:

ডিপ্লোমাই হোক বা পোস্ট ডক্টরাল, সব কোর্সের বরাদ্দ একই!

Advertisement

একেক জন চিকিৎসকের একেক রকম ডিগ্রি। তাঁদের অভিজ্ঞতার বহরও আলাদা। কিন্তু বন্ড পিরিয়ডে সরকার সবাইকে একই টাকার অঙ্কে সই করাচ্ছে।

অর্থাৎ, স্নাতকোত্তরের ডাক্তারি পড়ুয়া যে বেতন পাচ্ছেন, ডিপ্লোমা পড়ুয়ারও সেই বেতনই প্রাপ্য। যোগ্যতা আলাদা হলেও বেতনক্রম এমন একঢালা কেন? প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, প্রতিটি কোর্সের সময়সীমা ও মর্যাদা আলাদা। ডিপ্লোমা কোর্স দু’বছরের। কিন্তু সুপার স্পেশ্যালিটি পোস্ট ডক্টরাল ডিগ্রি ছ’বছরের। ওই ডিগ্রি নিতে হলে এমবিবিএস পরীক্ষায় পাশ করার করার পরে বেশ কিছু দিন ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করতে
হয়। ওই ডিগ্রি চিকিৎসাশাস্ত্রে সর্বোচ্চ। তবু ডিপ্লোমা আর পোস্ট ডক্টরেট চিকিৎসকদের বেতন সমান।

এ দিকে, ২০১৪ সালের এমএস বা এম়ডি পরীক্ষায় পাশ করা চিকিৎসকদের বন্ড আবার দু’রকম। প্রথম কাউন্সেলিংয়ের সময়ে বন্ডে আদালতের কোনও রকম সিলমোহর ছিল না। কিন্তু দ্বিতীয় কাউন্সেলিংয়ের সময়ে তাতে আদালতের সিলমোহর রাখা হয়। ফলে একই শিক্ষাবর্ষে পাশ করা কৃতী পড়ুয়াদের দু’রকম বন্ড দেওয়া হয়। যা পরবর্তীকালে সমস্যা তৈরি করতে পারে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশের। স্বাস্থ্য ভবনের এক কর্তা বলেন, ‘‘আমাদের একটি ফি স্ট্রাকচার কমিটি রয়েছে। সেখানে এই বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। নীতিগত পরিবর্তন না হলে অবস্থার পরিবর্তন হওয়া মুশকিল।’’ এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement