নোট-কাণ্ডের অজুহাত দেখিয়ে শিশু-পাচার কাণ্ডে হাত গুটিয়ে বসে আছে বিরোধীরা!
বিরোধীদের মধ্যে বিজেপি, কংগ্রেস শনিবার বিবৃতি দিয়ে দায়িত্ব সেরেছে! আর সিপিএম?
তারা ব্যস্ত সোমবারের হরতাল ‘সফল’ করা নিয়ে! বিরোধী নেতারা অবশ্য আড়ালে স্বীকার করছেন, এই সময় যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী নেত্রী থাকতেন, এই বিষয়টা নিয়ে তিনি শোরগোল ফেলে দিতেন।
শিশু-পাচার কাণ্ড নিয়ে এ দিন সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, ‘‘এ রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন কতটা সংবেদনহীন, শিশু-পাচার কাণ্ডে সেটা স্পষ্ট হল।’’ এর জন্য দিলীপবাবু মূলত স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী শশী পাঁজাকে দায়ী করে তাঁর অপসারণ দাবি করেছেন। কারণ নারী, শিশু এবং সমাজকল্যাণ দফতর শশীই দেখেন। সিবিআই তদন্তও দাবি করেছেন তিনি।
কিন্তু বিজেপি কেন আন্দোলনে নামছে না?
জবাবে ‘শীঘ্রই আন্দোলনে নামার আশ্বাস’ দিয়ে নোট-কাণ্ডকেই আপাত নিষ্ক্রিয়তার ‘অজুহাত’ হিসাবে তুলে ধরতে চেয়েছেন দিলীপবাবু।
সিপিএমের গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির নতুন সম্পাদক কনীনিকা ঘোষ স্বীকার করেছেন, বিষয়টি নিয়ে তাঁদের আন্দোলনে নামা উচিত ছিল। তবে কনীনিকাও আন্দোলনে না-নামার কারণ হিসাবে নোট-কাণ্ড এবং সোমবারের বন্ধকেই দেখিয়ে বলেন, ‘‘সোমবারের পরেই আমরা আন্দোলনে নামছি।’’
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এখনও কোনও বিবৃতি দেননি!
বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও স্বীকার করেছেন, বিষয়টি নিয়ে তাঁদের আন্দোলনে নামা উচিত ছিল। কিন্তু তাঁরাও নোট-কাণ্ডকেই ‘ঢাল’ হিসাবে ব্যবহার করে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েই আপাতত দায় সেরেছেন। দু’জনেই বলেন— মমতা একই সঙ্গে পুলিশ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী। যে ভাবে ওই দুই দফতরের নজর এড়িয়ে এই রমরমা কারবার চলেছে, তাতে মমতার ব্যর্থতাই প্রমাণিত হয়। প্রকৃত দোষীদের শাস্তি, শিশুদের ডিএনএ পরীক্ষা করে অবিলম্বে তাদের প্রকৃত বাবা-মার হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানালেও কংগ্রেস কবে আন্দোলনে নামবে, তা নিয়ে কিন্তু অধীর-মান্নান কিছু বলতে পারেননি।