অরূপ বিশ্বাস। —ফাইল চিত্র।
রাজ্য জুড়ে ১৬ অগস্ট পালিত হবে ‘খেলা হবে’ দিবস। উদ্যোগ যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া দফতরের। ইতিমধ্যে দফতরের নির্দেশিকা জেলায় জেলায় এসেছে। জানানো হয়েছে, অনুষ্ঠানস্থলে সাধারণ মানের মণ্ডপ করতে হবে।
আলাদাভাবে এই উল্লেখ কেন? বিরোধী শিবিরের অনুযোগ, রাজ্য সরকারের অনুষ্ঠানে বেহিসেবি ব্যয় হয়। তাতে হয়তো লাগাম টানার চেষ্টা হচ্ছে। কোনও কোনও মহলে আবার চর্চা, সরকারি ভাঁড়ারে কি তবে সত্যি টান পড়েছে! বিজেপির রাজ্য নেতা তুষার মুখোপাধ্যায়ের খোঁচা, ‘‘মনে হচ্ছে, এটা বিলম্বিত বোধোদয়। বা হতে পারে রাজ্যের ভাঁড়ে বা ভবানী দশা।’’ রাজ্যের যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া দফতরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস অবশ্য বলছেন, ‘‘সাজসজ্জায় বেশি জোর দিয়ে লাভ নেই। সরকার চায়, এই কর্মসূচিতে সর্বাধিক মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হোক।’’
২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের প্রচারে ছড়িয়েছিল ‘খেলা হবে’ স্লোগান। সে বার বড় জয়ের পরে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৬ অগস্ট ‘খেলা হবে’ দিবস বলে ঘোষণা করেন। সেই থেকে ক্রীড়াপ্রেমী দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হয়। ‘খেলা হবে’ দিবস পালিত হবে রাজ্যের ৩৪৫টি ব্লকে, ১১৯টি পুরসভায়, ২৩টি জেলা সদরে, কলকাতা বাদে ৬টি কর্পোরেশনে, কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডে, জিটিএ-তে এবং আইএফএ অনুমোদিত ১৯৬টি ক্লাবে। দফতর সূত্রে খবর, প্রত্যেক ইউনিটকে এ জন্য ১৫ হাজার টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৮৩৪টি ইউনিট, খরচ হবে ১ কোটি ২৫ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। বরাদ্দ টাকায় ক্রীড়াবিদদের সংবর্ধনা, ক্রীড়া সরঞ্জাম বিলি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সবটাই হবে। আর মঞ্চটা যত কমে করা যায়, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি ব্লকের এক প্রশাসনিক আধিকারিক বলছেন, ‘‘গোটা অনুষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ ১৫ হাজার টাকা। তার থেকে ৫-৬ হাজারে খুব জমকালো মণ্ডপ তো হয় না। ডেকরেটর্সকে বলব, নীল-সাদা কাপড়ের ছোট মণ্ডপ করতে।’’