কসবায় অনুষ্ঠান মঞ্চে হৃদয় ঘোষ, দুধকুমার মণ্ডল ও নিমাই দাস। ছবিটি বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।
আদিবাসী বিকাশ কেন্দ্র এবং স্থানীয় কসবা পঞ্চায়তের যৌথ উদ্যোগে হুল দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অনুন্নত শ্রেণি ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের আহ্বান জানাল জেলা বিজেপি। অনুষ্ঠানে ছিলেন, বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল, দলের বনবাসী কল্যাণ সমিতির রাজ্য সম্পাদক অনুপ দাশগুপ্ত এবং বোলপুর এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব। উপস্থিত ছিলেন কসবা পঞ্চায়তের নির্দল প্রার্থী তথা বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা হৃদয় ঘোষ এবং নির্দল পঞ্চায়েত প্রধান শঙ্করী দাসের স্বামী বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা নিমাই দাস তাঁর অনুগামীরা। দুধকুমারবাবু এক পাশে হৃদয় ঘোষ এবং অন্য পাশে নিমাই দাসকে নিয়ে যাওয়ার আগে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “রাজ্য সভাপতির সঙ্গে কথা হয়েছে। ২১ জুলাইয়ের আগেই এলাকার নির্দলদের অনেকেই বিজেপিতে যোগদান করবেন।”
প্রসঙ্গত, বোলপুর ব্লকের পাড়ুই থানার কসবা পঞ্চায়েত এই এলাকাটি নির্দলদের দখলে। এ দিন প্রদীপ জ্বেলে মহম্মহদবাজারের টুরকু হাঁসদা হেমব্রম স্মৃতি শত বাষির্কী সদনে জেলা হুল উৎসবের সূচনা করলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। ছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়, বিধায়ক স্বপন ঘোষ ও আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরি, জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী। মহম্মহদবাজারের বিডিও সুমন বিশ্বাস জানান, সোমবার সকাল থেকেই অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত। বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতী ১৩ জন আদিবাসীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ দিনের সভায় তৃণমূলের দুই নেতৃত্ব মনিরুল ইসলাম ও অনুব্রত মণ্ডলের আসার কথা থাকলেও আসেননি।
এ দিন রামপুরহাটের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডেও হুল দিবস উদযাপিত হয়। ফুটবল প্রতিযোগিতা, আদিবাসী মহিলাদের ক্রিড়া প্রতিযোগিতা, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণদের সংবর্ধনা এবং আদিবাসী চলচিত্র প্রদশর্নীর মাধ্যমে দু’ দিনের হুল দিবস উদযাপিত হয় রামপুরহাটের পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে।