চার পদকজয়ী (বাঁ দিক থেকে) সারজিনা, সুজয়া, অঙ্কিতা ও আব্বাস।—নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যের পর এ বার স্পেশ্যাল অলিম্পিকে জাতীয় স্তরেও সফল হল মানসিক বিকাশে পিছিয়ে থাকা বীরভূমের ছেলেমেয়েরা। ১৩-১৫ মার্চ পর্যন্ত দিল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে ‘স্পেশ্যাল অলিম্পিক ভারত’ আয়োজিত ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ানশিপে ৪টি সোনা-সহ মোট ৮টি পদক জিতেছে জেলার চার প্রতিযোগী সিউড়ি আরটি গর্লস স্কুলের অঙ্কিতা সরকার, অষ্টম শ্রেণির সুজয়া রায় এবং নলহাটি -এর নোয়াপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির সারজিনা খাতুন, দুবরাজপুরের করমকাল উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র আব্বাস আহমেদ। অঙ্কিতা এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। ১৬ মার্চ রবিবার দিল্লি থেকে রওনা হয়। মঙ্গলবার সকালে বর্ধমানের অন্ডাল স্টেশন থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য অন্ডাল-সাঁইথিয়া ট্রেনে ওঠার সময়ে শারীরিক ক্লান্তির মধ্যেও ওদের চোখেমুখে কোথাও একটা তৃপ্তির ছাপ ধরা পড়ল। সন্তানদের সাফল্যে খুশি সঙ্গে থাকা অভিভাবকেরা। অঙ্কিতার বাবা বরুণ সরকার, সারজিনার বাবা মর্জেম শেখ বা সুজয়ার মা চন্দনা রায় এবং আব্বাসের বাবা শেখ হিরুরা বলছেন, “চারজনই পদক জিতেছে। এর থেকে বেশি আর কী হতে পারে।” তাদের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত জেলা সর্বশিক্ষা মিশনের জেলা আধিকারিক শুকদেব চক্রবর্তীও। স্পেশ্যাল অলিম্পিকের অ্যাসিস্ট্যান্ট এরিয়া ডাইরেক্টর অশোক চাকি জানিয়েছেন, দিল্লিতে আয়োজিত ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ানশিপে রাজ্য থেকে মোট ৩৫ জন মানসিক প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রী যোগ দিয়েছিল। রাজ্যস্তরে সফল প্রতিযোগীদের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও বীরভূমের প্রতিযোগীদের বাছাই করা হয়েছিল। রাজ্যের পদক প্রাপ্তির মোট সংখ্যা ১৯টি সোনা-সহ ৪৭টি। ২৬টি রাজ্য থেকে মোট ১২০০ প্রতিযোগীদের মধ্যে সফলদের বাছাই করে আগামী বছর আন্তর্জাতিক স্পেশাল অলিম্পিক হবে। জাতীয় দলে এ রাজ্যের ছেলেমেয়ারাও থাকবে বলে আশাবাদী তিনি।