সুপারের বদলির দাবিতে ধর্নায় আদিবাসী সংগঠন

রাইপুরের প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার কেন্দ্রীয় ছাত্রী আবাসের সুপারকে বদলির দাবিতে সরব হল আরও একটি সংগঠন আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। ওই ছাত্রী আবাসের সামনে মঞ্চ বেঁধে সোমবার ১০টা থেকে ধর্নায় বসেছেন ওই আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা। ওই হস্টেল সুপারের বদলির দাবি জানিয়েছে তৃণমূলের একাংশও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রাইপুর শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:৫৯
Share:

রাইপুরে হস্টেলের সামনে ধর্না। সোমবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

রাইপুরের প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার কেন্দ্রীয় ছাত্রী আবাসের সুপারকে বদলির দাবিতে সরব হল আরও একটি সংগঠন আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। ওই ছাত্রী আবাসের সামনে মঞ্চ বেঁধে সোমবার ১০টা থেকে ধর্নায় বসেছেন ওই আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা। ওই হস্টেল সুপারের বদলির দাবি জানিয়েছে তৃণমূলের একাংশও।

Advertisement

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাইপুরের এই হস্টেলকে ঘিরে বিতর্কের জল গড়াচ্ছে। চাপান-উতোর শুরু হয়েছে তৃণমূলের যুযুধান দুই গোষ্ঠীর মধ্যেও। গত ২২ অগস্ট ওই কেন্দ্রীয় ছাত্রী আবাসে নানা অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে সুপারের সঙ্গে কথা বলতে যান তৃণমূল পরিচালিত রাইপুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আশা মণ্ডল। অভিযোগ, ওই ছাত্রী আবাসের মধ্যেই তাঁকে আটকে রেখে সুপারের নেতৃত্বে হেনস্থা করা হয়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে আশাদেবীকে উদ্ধার করে। পরে পুলিশের কাছে হস্টেল সুপার তাপসী দে-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই কর্মাধ্যক্ষ। সুপার অবশ্য খাতড়া আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন। পরে রাইপুরের বিডিও দীপঙ্কর দাসও হস্টেল সুপারের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরই পাল্টা হিসেবে হস্টেল সুপারও বিডিও-র বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর ছাত্রীদের তরফে হস্টেলেরই এক আবাসিক ছাত্রী খাতড়া আদালতে পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা শান্তিনাথ মণ্ডল, রাইপুর কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক টিএমসিপি নেতা চিরঞ্জিৎ মাহাতো, রাইপুরের বিডিও দীপঙ্কর দাস-সহ পাঁচজনের নামে একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার মধ্যে শাসক দলের দুই গোষ্ঠী রাইপুর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি জগবন্ধু মাহাতো ও তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্য অনিল মাহাতোর বিরোধ প্রকাশ্যে এসে পড়েছে।

তৃণমূলের রাইপুর ব্লক সভাপতি জগবন্ধু মাহাতো শনিবারই জেলা অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের কাছে ওই ছাত্রী আবাসের সুপারকে অবিলম্বে বদলির দাবি জানিয়েছেন। এই হস্টেল নিয়ে নোংরা রাজনীতি বন্ধের দাবিতে শুক্রবার অন্য একটি আদিবাসী সংগঠনও রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করেছে। আদিবাসী বিকাশ পরিষদের রাজ্য সভাপতি মদন মোহন মাণ্ডির দাবি, “গত ২৪ অগস্ট ওই হস্টেল সুপারের সঙ্গে আমাদের সদস্যরা কথা বলতে গিয়েছিলেম। সুপার কাউকে ঢুকতে না দিয়ে অপমান করে তাড়িয়ে দেন। অথচ শনিবার সিপিএমের দুই বিধায়ক-সহ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে হস্টেলে বসে ঘণ্টা খানেক ধরে গল্পগুজব করেছেন।” তাঁর অভিযোগ, “হস্টেল নিয়ে সুপার নিজেই নোংরা রাজনীতি শুরু করেছেন। মিথ্যা অভিযোগ করাচ্ছেন। তাই হস্টেলের স্বার্থে আমরা সুপারের বদলির দাবি জানিয়েছি।” যদি সুপারকে বদলি না করা হয় তা হলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন। হস্টেল সুপার তাপসী দে সঙ্গে এ দিন বার বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। রাইপুরের বিডিও দীপঙ্কর দাস অবশ্য বলেন, “ওই হস্টেলের ব্যাপারে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরকে সব কিছু জানানো হয়েছে। যা ব্যবস্থা নেওয়ার তারাই নেবে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement