সেই বাইক বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ

বৈধ কাগজপত্র না থাকার অভিযোগে পুলিশের আটক করা যে মোটরবাইকটি ছাড়াতে পুরুলিয়ায় তৃণমূল নেতাদের একাংশ সক্রিয় হয়েছিলেন, সেই বাইকটি শেষ পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। তবে আটকের দু’সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও গাড়িটির বৈধ কাগজপত্রও জমা করতে পারেননি দাবিদার। পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার পর্যন্ত ওই মোটরবাইকটির বৈধ কাগজপত্র আদালতে জমা পড়েনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৫ ০১:০৫
Share:

বৈধ কাগজপত্র না থাকার অভিযোগে পুলিশের আটক করা যে মোটরবাইকটি ছাড়াতে পুরুলিয়ায় তৃণমূল নেতাদের একাংশ সক্রিয় হয়েছিলেন, সেই বাইকটি শেষ পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। তবে আটকের দু’সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও গাড়িটির বৈধ কাগজপত্রও জমা করতে পারেননি দাবিদার।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার পর্যন্ত ওই মোটরবাইকটির বৈধ কাগজপত্র আদালতে জমা পড়েনি। পুলিশের কাছেও কাগজ পাঠানো হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, এরপর কাগজপত্র যদি জমা দিতে চায় তাহলে তা আদালতেই পেশ করতে হবে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ওই বাইকটি ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুর এলাকার এক ব্যক্তির নামে রেজিস্ট্রেশন করা রয়েছে। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে পুলিশ। ওই মোটরবাইকের দাবিদারের তরফে পুরুলিয়া ২ ব্লকের নেতা শেখ রহমামিন অবশ্য দাবি করেছেন, “শীঘ্রই জামশেদপুর থেকে বাইকের কাগজপত্র জোগাড়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। তা পেলেই আদালতে পেশ করব।” পুরুলিয়া ২ ব্লকের হুটমুড়ার এক যুবক সপ্তাহ দুয়েক আগে পুরুলিয়া শহরে ওই বাইক নিয়ে এসেছিলেন। বৈধ কাগজ না থাকার অভিযোগে পুলিশ গাড়িটি আটক করে। এরপরেই ওই ব্লকের তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের নেতা শেখ রহমামিন-সহ জেলা তৃণমূলের একাংশও মোটরবাইকটি ছাড়াতে আসরে নামেন।

পুরুলিয়া সদর থানার যে আধিকারিক গাড়িটি আটক করেছিলেন তাঁকে ফোন করেন তৃণমূলের কয়েকজন নেতা। কিন্তু পুলিশ কাগজপত্র না দেখে গাড়িটি ছাড়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। গত ২১ ফেব্রুয়ারি বাইকটি ছাড়ার দাবি জানিয়ে শেখ রহমামিন সহ কয়েকজন পুলিশের কাছে গেলে দু’তরফে বচসা বাধে। রহমামিন-সহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের অভিযোগ ছিল, ওই পুলিশ কর্মী মন্তব্য করেছেন কোনও নেতা নয়, স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বললেও তিনি বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বাইকটি ছাড়বেন না। এর পর বাইকের দাবির বদলে ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়। থানার বাইরে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভ দেখান। কটূক্তি করার জন্য ওই পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement