বিএসএফ-এর বাস উল্টে যানজট রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। রবিবার ছবিটি তুলেছেন দয়াল সেনগুপ্ত।
শাল নদীর সঙ্কীর্ণ কজওয়ে দিয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে পড়ে যেতে যেতে কোনও রকমে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল বিএসএফ জওয়ানদের একটি বাস। তবে, ঝুলে থাকা ওই বাসটি আটকে থাকায় প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে ওই রাস্তায় যান চলাচল বিঘ্নিত হল। রবিবার বিকেল ৩টে নাগাদ রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের মধ্যে থাকা খয়রাশোলের শাল নদীর কজওয়েতে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া ওই বাসটিতে ১৫ জন জাওয়ান ছিলেন। তাঁরা বলেন, “হাজারিবাগ থেকে ত্রিপুরা যাচ্ছিলাম। আমাদের প্রথম বাসটি কজওয়ে পেরিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দু’টি মোষ আমাদের গাড়ির সামনে চলে আসায় সেগুলিকে বাঁচাতে গিয়েই এই বিপত্তি। বাস নদীতে পড়লে বড় বিপদ হতে পারত।”
২০০৬ সালে ওই রাস্তাটি জাতীয় সড়কের তকমা পাওয়ার পর রাস্তাটির রানিগঞ্জ-দুবরাজপুর অংশ সংস্কার ও চওড়া করার কাজ হলেও ভাসাপুল দু’টি একই অবস্থায় থেকে গিয়েছে। জাতীয় সড়কে থাকা খয়রাশোলের শাল ও হিংলো কজওয়ে নিয়ে মানুষের অভিযোগের অন্ত নেই। বেশি বৃষ্টি হলে বা হিংলো জলাধার থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়া হলে কজওয়ে ভেসে যাওয়ার ঘটনা তো আকছার লেগেই রয়েছে। তখন সিউড়ি-আসানসোল, খয়রাশোল-আসানসোল এবং রাজনগর-আসানসোল রুটের বাস ও অন্য যান চলাচল বন্ধ থাকে। এ ছাড়া সঙ্কীর্ণ ওই কজওয়ে যেতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ছোটবড় গাড়ি। মানুষের অসুবিধার কথা ভেবে সেতু দু’টি নতুন করে তৈরির দাবিতে গত মাসেই খয়রাশোলের গীতা ভবনের সন্ন্যাসী সাত্যানন্দের নেতৃত্বে শ’তিনেক মানুষ পদযাত্রা করে জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। অথচ সেতু দু’টি কবে নতুন করে তৈরি হবে, তা স্পষ্ট নয়। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সেতু দু’টি নতুন করে তৈরি করার জন্য সমীক্ষার কাজ শেষ করে বরাদ্দ অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।