বিপজ্জনক ভাবে বেরিয়ে রয়েছে লোহার পাত। —নিজস্ব চিত্র
সেতুটি সঙ্কীর্ণ হওয়ায় প্রতিদিন যানজট লেগেই থাকে। ফলে দুর্ভোগের শেষ নেই। তার উপর বিপদ বাড়িয়েছে সেতুর দু’পাশের রেলিং-এ লাগানো লোহার পাত বেরিয়ে থাকায়। তাতে ধাক্কা লেগে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অথচ হুঁশ নেই প্রশাসনের। সমস্যাটি সাঁইথিয়া রেলসেতুর।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা এক মহিলা সেতু পার হচ্ছিলেন। একটি গাড়িকে পাশ কাটাতে গিয়ে ধাক্কা লাগে বেরিয়ে থাকা পাতে। পিছনে থাকা এক যুবক তাঁকে ধরে ফেলেন। না হলে ট্রাকের তলায় চলে যেতেন ওই মহিলা। সাঁইথিয়া রক্ষাকালীতলার বাসিন্দা শেখ আজাহার, টাউন হাইস্কুল পাড়ার বাসিন্দা বাদল ভকত, নেতুর আশ্রমপল্লির দুর্গাচরণ দাস বলেন, “ছোট থেকে শুনে আসছি সেতুটি চওড়া ও বড় হবে। কিছুদিন আগে সংবাদপত্রে দেখলাম রেল সেতুটি সংস্কারের জন্য সাঁইথিয়ার পুরপ্রধান জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও রাজ্য পূর্ত দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়রকে চিঠি করেছেন। ওই খবরটা দেখে ভেবেছিলাম শহরবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন এ বার সত্যি হতে চলেছে। কিন্তু কই। তারপর থেকে তো আজ পর্যন্ত রেলের এ ব্যাপারে কোনও হেলদোল দেখছি না।”
এমনিতেই এই সেতুকে কেন্দ্র করে শহরবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই। তারপর সেতুর উপরের রেলিং-এর পাতগুলি যে ভাবে বেরিয়ে আছে, তাতে যে কোনও সময় বড় বিপদ হতে পারে বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীর। পুরপ্রধান বিপ্লব দত্ত বলেন, “রেলসেতু সম্প্রসারণের ব্যাপারে রেল কর্তৃপক্ষ অনেক দিন আগে একটি চিঠি দিয়েছিল। সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস-সহ সঙ্গে সঙ্গে ওই চিঠির উত্তর দেওয়া হয়েছে। রেল কবে থেকে এবং কীভাবে সেতুর কাজ করতে চাইছে সে ব্যাপারে এখনও কিছুই জানায়নি। বিপজ্জনক ভাবে সেতুর উপর লোহার পাত বেরিয়ে থাকার ব্যাপারে ইতিমধ্যেই রেল কর্তৃপক্ষকে আমরা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।” সাঁইথিয়া স্টেশন ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা টিআই (ট্রাফিক ইনস্পেক্টর) কৃষ্ণ কুমার দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। সেতু সম্প্রসারণের প্রশ্নে তিনি বলেন, “সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে।”