মহারাষ্ট্রে ডাক্তারি ছাত্রীর ঝু্লন্ত দেহ

ভিন রাজ্যে ডাক্তারি পড়তে গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল পুরুলিয়ার এক তরুণীর। প্রিয়াঙ্কা মুখোপাধ্যায় (১৯) নামে ওই মেধাবী ছাত্রীর বাড়ি পুরুলিয়া শহরের কেতিকা এলাকায়। মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ের কাছে একটি মেডিক্যাল কলেজে তিনি প্রথম বর্ষে পড়ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৪ ০১:১৪
Share:

ভিন রাজ্যে ডাক্তারি পড়তে গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল পুরুলিয়ার এক তরুণীর। প্রিয়াঙ্কা মুখোপাধ্যায় (১৯) নামে ওই মেধাবী ছাত্রীর বাড়ি পুরুলিয়া শহরের কেতিকা এলাকায়। মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ের কাছে একটি মেডিক্যাল কলেজে তিনি প্রথম বর্ষে পড়ছিলেন। থাকতেন ছাত্রীনিবাসে। শনিবার গভীর রাতে সেখান থেকে বাড়িতে খবর আসে, হস্টেলের ঘরে তাঁর ঝুলন্ত দেহ মিলেছে। এই খবরে হতবাক পরিজনেরা রবিবার ভোর রাতে তাঁরা মহারাষ্ট্রে রওনা দেন।

Advertisement

পুরুলিয়ার একটি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে প্রিয়াঙ্কা। গত বছর তিনি ডাক্তারিতে ভর্তি হন। প্রিয়াঙ্কার বাবা নয়ন মুখোপাধ্যায় পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের চিকিত্‌সক। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা দিয়েছে, শনিবার মাঝরাতে মোবাইলে মেয়ের ছাত্রীনিবাসের নম্বর থেকে ফোন আসতে দেখে নয়নবাবু চমকে গিয়েছিলেন। সেই ফোনেই আসে মেয়ের মৃত্যু সংবাদ। তা শুনে স্থবির হয়ে যান তিনি। রবিবার ভোরে তিনি গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন জলগাঁওয়ের উদ্দেশ্যে।

রাস্তা থেকেই মোবাইলে তিনি বলেন, “শনিবার দুপুরে প্রিয়াঙ্কা ফোন করেছিল। নানা কথাবার্তা হল। কিন্তু অস্বাভাবিক কিছু বুঝতে পারিনি। রাতে ওর হষ্টেল থেকে খবরটা পেয়ে বিশ্বাসই করতে পারিনি।” নয়নবাবু জানান, মঙ্গলবার প্রিয়াঙ্কার পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরীক্ষার ভয়ে সে আত্মহত্যা করবে বলে বিশ্বাসও হচ্ছে না। তাই পুরো বিষয়টি নিয়ে তাঁদের কাছে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

Advertisement

নয়নবাবু বলেন, “আগে ওখানে পৌঁছাই। তারপরেই বলা যাবে কী হয়েছে।” তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র পুলিশ এ দিন প্রিয়াঙ্কার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নয়নবাবুর কাছে অনুমতিও চেয়েছিল। কিন্তু নয়নবাবু তাতে রাজি হননি। তিনি সেখানে পৌঁছনো পর্যন্ত পুলিশকে অপেক্ষা করতে বলেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement